চলতি বছরের ৮ মাসে সড়কে ঝরল ৩৩১৭ প্রাণ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩১৭ জন নিহত এবং ৫ হাজার ১৭২ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসেবে এ তথ্য জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’র সমন্বয়ে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় গৃহীত ‌‘বাংলাদেশ রোড সেইফটি’ প্রকল্পে ‘সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’র কিছু ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমরা এই বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়কের জন্য আলাদা আইনি কাঠামোর জোর দাবি জানাই।

নিসচা’র চেয়ারম্যান বলেন, দেশের দুটি সরকারি সংস্থার হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যার অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। মূলত, বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ না করায় এমনটা হচ্ছে।

Nagad

নিসচা’র তথ্য তুলে ধরে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৫০৮৯টি রোডক্র্যাশে ৫৬৩৬ জন নিহত এবং ৪৪৪৪ জন আহত হয়। আর ২০২১ সালে ৫৪৭২টি রোডক্র্যাশে ৫০৮৪ জন নিহত এবং ৪৭১৩ জন আহত হয়। নিসচা-এর তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৭০২৪টি দুর্ঘটনায় ৮১০৪ জন নিহত এবং ৯৭৮৩ জন আহত হয়। আর ২০২১ সালে ৪৯৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫৬৮৯ জন নিহত এবং ৫৮০৫ জন আহত হয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরেও রোডক্র্যাশের সার্বিক হার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। অথচ এই সকল অনাকাঙ্খিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য, কিন্তু এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলে কতটা আন্তরিক প্রশ্ন থেকে যায়।

তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরেও রোডক্র্যাশের সার্বিক হার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অথচ এই সকল অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই কতটা আন্তরিক, প্রশ্ন থেকে যায়।

সারাদিন. ২৩ সেপ্টেম্বর