গাজায় খাবার-পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, ইসরায়েলে ঢুকছে হিজবুল্লাহ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৩

এবার ইসরায়েলে ঢুকতে শুরু করেছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সদস্যরা। এ সময় লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। হিজবুল্লাহ’র অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।

ইতিমধ্যে ইসরায়েল তলব করল ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য। এদিকে গাজায় ‘সর্বাত্মক’ অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ফলে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট এ অবরোধ ঘোষণা করেন। খবর: আল-জাজিরা

ইওয়াভ গ্যালান্ট বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই বন্ধ থাকবে।’

শনিবার ভোরের দিকে গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্র শাসকগোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আচমকা হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় অনবরত বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের কাছ থেকে গাজা সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্থল-আকাশ ও সমুদ্রপথে অভিযান পরিচালনা করছে।

ড্যানিয়েল হ্যাগার বলেন, সীমান্তের কিছু গ্রাম ও শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হলেও সেখানে কিছু বন্দুকধারী সক্রিয় রয়েছে। যে কারণে সীমান্তের ওই এলাকাগুলোতে এখনও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ চলছে।

এ দিকে ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সীমান্তবর্তী সম্প্রদায়ের ‘নিয়ন্ত্রণ’ তাদের হাতেই রয়েছে। হামাসের আর কোনো সদস্য যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তা ঠেকাতে ট্যাংক ও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।

Nagad

গত শনিবার সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালান হামাস সদস্যরা। তাদের ওই হামলায় ইসরায়েলের সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। জবাবে গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৫১ মানুষ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, চলমান সহিংসতায় গাজায় এক লাখ ২৩ হাজারের বেশি বাসিন্দা ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মাঝেই পুরো উপত্যকায় বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের যখন ইসরায়েল থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তখন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে অবস্থানরত ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্সের সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলিদের কাছ থেকে ‘অনেক অনুরোধ’ এসেছে যেন তাদের রিজার্ভ ফোর্সের সামরিক সদস্যদের শিগগিরই দেশে ফেরানো হয়। বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিকের জন্য কিছু সামরিক সেবা দেওয়া বাধ্যতামূলক; এমনকি তারা দ্বৈত নাগরিক হলেও। সাধারণত যুদ্ধের মতো বড় ঘটনায় এই রিজার্ভ ফোর্স বা সংরক্ষিত বাহিনীর সদস্যদের তলব করা হয়। সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।