আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
রাজপথ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকেই মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে আজ থেকেই ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল নিয়ে রাজপথে থাকবে ক্ষমতাসীন দল।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকার রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএনপির কর্মসূচির আগের দুই দিন, অর্থাৎ আজ ও আগামীকাল রাজধানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল-সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল। ঢাকা জেলার পাঁচ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌরসভার ওয়ার্ডেও মিছিল-সমাবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের কাছে খবর হচ্ছে, বিএনপির প্রচুর নেতা-কর্মী ইতিমধ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভয় ধরানোর জন্য আজ থেকেই মিছিল–সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
পথহারা সেতুগুলো


বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর সাত কোটি টাকার সেতুর নির্মাণকাজ দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হয়েছে। আরসিসি সেতুটির মাঝখানের অংশের কাজ হয়নি। জেলেদের দাবির মুখে কর্তৃপক্ষ মাঝ বরাবর উঁচু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সেতুর নকশা পাল্টাতে হবে।মাঝ বরাবর করা হবে ইস্পাতের কাঠামো। এতে খরচও বাড়বে।এদিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় চার বছর আগে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না।তালতলীর ৭ কোটি টাকার সেতু-স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালে ওপর সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। আরসিসি সেতুটি ৭২ মিটার দীর্ঘ। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় সাত কোটি টাকা। কাজটি পায় বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’। সূত্র: কালের কণ্ঠ
প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
অতিরিক্ত ফোর্স আনা হচ্ছে ঢাকায়, জরুরি ছাড়া ছুটি বাতিল
রাজধানীতে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করেই মহাব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। নগরবাসী এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে তাদের শীর্ষ কর্মকর্তারা কষছেন নানা ছক। তবে কৌশল আরও নিখুঁত করতে পুলিশ-র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন। সরকারের শীর্ষ মহলকে তারা আশ্বস্ত করেছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের যে কোনো অপকৌশল ঠেকাতে তারা প্রস্তুত। সাইবার এবং মাঠের নাশকতা-দাঙ্গা দমনে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। এরই মধ্যে ডামি মহড়ায় অংশ নিচ্ছে পুলিশ। তবে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে ‘আন্দোলনের মহাযাত্রা’র আগাম ঘোষণায় নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন রাজধানীসহ দেশের সাধারণ মানুষ। শীর্ষ কর্মকর্তারা সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আশ্বস্ত করলেও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উদ্বেগে ভুগছেন। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফোর্সে ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ঢাকার প্রবেশপথ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সরকার এমন কিছু না যে ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
টানেলের সুফল আটকে যেতে পারে সংযোগ সড়কে
বঙ্গবন্ধু টানেলে পাল্টে যেতে পারে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত এই টানেল চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। মাতারবাড়ীতে চলমান ৭২টি মেগা প্রকল্পের সঙ্গে মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে হতে যাওয়া পাঁচ শতাধিক কারখানার যোগসূত্রও স্থাপন করবে এই টানেল। টানেল তৈরি হলেও সেভাবে প্রস্তুত হয়নি সড়কপথ। চার লেন হয়নি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পুরোটা। টানেলের প্রবেশমুখেও জট লাগতে পারে গাড়ির। কারণ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে রিং রোডের মিলনস্থলে যে জংশন আছে, সেটিও পর্যাপ্ত প্রশস্ত নয় বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেজ্ঞরা। এর প্রশস্ততা বাড়াতে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও। তারা বলছে, টানেল দিয়ে শুরুতে প্রতিদিন চলবে ১৭ হাজার গাড়ি। বিদ্যমান সড়ক ব্যবস্থাপনায় গাড়ি চলাচল করতে কোনো অসুবিধা হবে না। ভবিষ্যতে গাড়ি চলাচল বাড়তে থাকলে সড়কও পর্যায়ক্রমে প্রশস্ত হবে। ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে আসা কক্সবাজার, বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী গাড়ি চট্টগ্রাম টোল রোড ও চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড হয়ে পতেঙ্গা দিয়ে টানেলে প্রবেশ করবে। সংযোগ সড়ক হয়ে এসব গাড়ি আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীতে সংযুক্ত হবে। সূত্র: সমকাল
২৮ অক্টোবর দুদলের মহাসমাবেশ
পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তেজনা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরগরম রাজনীতির মাঠ। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে যার যার অবস্থানে অনড় থেকে কর্মসূচি, পালটা কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে ২৮ অক্টোবর একই দিনে রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দুদল। কর্মসূচি ঘিরে গত কয়েকদিন ক্ষমতাসীন দল ও মাঠের বিরোধী দলের নেতাদের পালটাপালটি বক্তব্যে বাড়ছে উত্তেজনা ও নানা উৎকণ্ঠা। ক্ষমতাসীনরা বলেছেন, আর ছাড় নয়, আক্রমণ হলে পালটা আক্রমণ হবে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য-শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আঘাত এলে তারাও পাল্টা আঘাত করবে।
অলিগলিতেও পালানোর পথ পাবেন না
তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে-এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গয়েশ্বর বলেছেন, অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবে। অলিগলি দখল করলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে গয়েশ্বর বাবুকে স্বাগত জানাতে। মনে নাই, আপনি কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে আসছেন! এবার আপনার কপাল খারাপ। আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি। অলিগলিতেও পালানোর পথ পাবেন না।বুধবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রাস্তা ছাড়বেন না। আক্রমণ করব না। এ পর্যন্ত করি নাই। তাদের (বিএনপি) ভগবান, অবতার, অনেক শক্তি আছে। সূত্র: যুগান্তর
হাসপাতালে আসতে ভয় পাচ্ছেন ডাক্তাররা
জীবন-মৃত্যু-আশ্রয়। সবকিছুতেই আল-শিফা। আহতদের সেবা, বাস্তুহারাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই, মৃত স্বজনের লাশঘর-সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের হামলায় ক্ষতবিক্ষত গাজার প্রতিমুহূর্তে আল-শিফাই শেষ ভরসা। যুদ্ধাক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে প্রতিদিন যেন আরেক যুদ্ধ শুরু হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটির এই হাসপাতালে। বুধবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বললেন মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সেলমেয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হৃদিতা ইফরাত-আল শিফা হাসপাতালে এখনো সরাসরি কোনো হামলা হয়নি। আশপাশে প্রতিদিন প্রচুর বিস্ফোরণ হচ্ছে। আমরা শুনছি, ভয় পাচ্ছি। মাঝে মাঝে একেবারেই কাছে এসে পড়ছে বোমা। হাসপাতালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। কথাগুলো আমি খুব সাধারণভাবে বললেও গাজার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফার পরিস্থিতিও ভিন্ন কিছু নয়। বিভীষিকাময় এক আক্রমণের শিকার হয়েছি আমরা। আল-আহলি হাসপাতালে চালানো ভয়াবহ হামলার পর অসংখ্য রোগীকে এখানেই স্থানান্তর করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
জামায়াতের সক্রিয়তায় সংঘাতের শঙ্কা
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় বিএনপি এবং সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মহাসমাবেশ ডেকেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ওইদিন সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত।একই দিনে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ আরও ছড়িয়েছে। মহাসমাবেশ ঘিরে জনমনে শঙ্কা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহাসমাবেশ সফল করতে যা যা করার দরকার, সবই করা হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াত নেতারা। ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচির কথা শুনে অনেকের মনে পড়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-লাঠি-বৈঠার আন্দোলনের কথা। সে সময় পুরানা পল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। সূত্র: দেশ রুপান্তর
ভোটের আগেই ৩৬৫টি বাড়তি পদ পাচ্ছে পুলিশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই পুলিশের পদোন্নতির জট খুলতে যাচ্ছে। এই জট খুলতে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৩৬৫টি সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। পদগুলোর মধ্যে আছে অতিরিক্ত আইজিপির ১০টি, উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) ৬৫টি, অতিরিক্ত ডিআইজির ১৪০টি এবং পুলিশ সুপারের (এসপি) ১৫০টি। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব জরুরি বিবেচনায় ‘প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটি’র বৈঠকে উপস্থাপন করতে গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। সূত্রমতে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকের ২৬টি আলোচ্যসূচিতে পুলিশের সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টির বিষয়টি ঠাঁই না পেলেও বিবিধ হিসেবে প্রস্তাবটি তুলে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
বেসিকের বাচ্চু কোথায়
প্রকৃত তথ্য নেই কারও কাছে
আলোচিত বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১০ সালে। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য মতে, ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে এই কেলেঙ্কারির মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবে আত্মসাতের পরিমাণ আরও বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। এত বড় ঋণ কেলেঙ্কারির পর পার হয়েছে প্রায় ১৪ বছর। কিন্তু এ ঘটনার মূল হোতা ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। উচ্চ আদালত থেকে বারবার নির্দেশনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করার পর গত জুনে আলোচিত এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের হওয়া ৫৯ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এর ৫৮টিতেই অভিযুক্ত হয়েছেন আব্দুল হাই বাচ্চু। এরপর গত ৩ অক্টোবর বাচ্চু ও তার স্ত্রী-সন্তান, ভাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করে দুদক। দুদকের ৫৯টি মামলার এই আসামি দুই দফায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন; কিন্তু নিজে আদালতে হাজির হননি। এমনকি তাকে গ্রেপ্তারে দুদকেরও কোনো পদক্ষেপ নেই।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুদক শুরু থেকেই আব্দুল হাই বাচ্চুর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আসছে। এজন্য আমলযোগ্য অপরাধ হওয়ার পরও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর চার্জশিট দাখিলের পরও তার প্রতি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে। সূত্র জানায়, আব্দুল হাই বাচ্চু বিদেশ আছেন, নাকি দেশে—অভিযোগপত্র দাখিলের পর তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। ইমিগ্রেশনের সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল হাই বাচ্চু গত ৫ এপ্রিল দুবাই যান। সেখান থেকে তিনি যান কানাডায়। ৮ জুন দেশে ফেরেন তিনি। এরপর তিনি আর দেশের বাইরে যাননি। এর মধ্যে ১৫ জুন আব্দুল হাই বাচ্চুর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের ইমিগ্রেশন ল্যান্ড অ্যান্ড সি পোর্টের বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর চিঠি দেয় দুদক। মামলার পাঁচ তদন্ত কর্মকর্তা পৃথকভাবে এসব চিঠি দেন। অনেকেই বলছেন, বাচ্চু বিদেশে চলে যাওয়ার পর দুদক থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে আব্দুল হাই বাচ্চুর কোনো হদিস নেই। তিনি কি দেশে নাকি বিদেশে—তারও কোনো তথ্য নেই কারও কাছে। সূত্র: কালবেলা
‘ঢাকায় ২৮শে অক্টোবর বিএনপি, আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সামনে রেখে উত্তেজনা বাড়ছে’
ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Tension rises ahead of BNP, AL Oct 28 rallies in Dhaka’ অর্থাৎ ‘ঢাকায় ২৮শে অক্টোবর বিএনপি, আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সামনে রেখে উত্তেজনা বাড়ছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে মোকাবেলায় ২৮শে অক্টোবর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারাও সমাবেশ করার ওপর জোর দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সেদিন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।সরকার এখনও তাদের কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। অথচ এরিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় প্রবেশ করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ্
পেটের দায় আর লোভে বিষাক্ত হচ্ছে সুন্দরবন
“উপায় থাকলে কেউ সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায় না। জেলেরা তো দাদনে জর্জরিত। জাল, নৌকা ওখান থেকে নেয়, এটা তো উসুল করতে হবে।”
ন্দরবনের খালে অবৈধভাবে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বাড়ায় প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়ছে জীব-বৈচিত্র্য। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরা যায় বলে প্রান্তিক জেলেরা এ কাজে ঝুঁকছে। অভিযোগ আছে, বেশি লাভের লোভে কিছু আড়তদার জেলেদের দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে। বছরের একটি সময় বনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে সুন্দরবন থেকে বনজীবী মানুষের আয়ের উৎস কমে গেছে। অথচ কোন সময়টায় নিষেধাজ্ঞা দিলে বনের লাভ হবে, সে সময়টায় বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষ কী করবে- এসব নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত কোনো গবেষণা বা ডেটা নেই বলে বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য।তারা বলছেন, গত এক দশকে সুন্দরবনের অর্থনীতির গতিপথ অনেকটাই বদলে গেছে। তাতে ভুক্তভোগী হচ্ছে বনজীবীরা। ফলে বনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার সময় ‘বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয়’ করা জরুরি; পাশাপাশি বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র: বিডি নিউজ