মাইকে ঘোষণা দিয়ে আশুলিয়ায় ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর এই ব্যাপক সংঘর্ষের পর এই এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। সব শেষ খবর নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসীর আক্রমণের ভয়ে শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসের ভিতরে আতঙ্কে রয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় সংঘর্ষে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোকানে কেনাকাটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা চানগাও বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তখন এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘোষণা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজন ক্যাম্পাসের ভেতরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
পরে শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন জালিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মেহেদী হাসান নামে আহত এক শিক্ষার্থীকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
জানা যায়-ড্যাফোডিল ক্যাম্পাস ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কিছু দিন আগে শিক্ষার্থী অন্তর হত্যার জের ধরে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বাজারে যে হামলা চালিয়েছিল তাতে এলাকাবাসীর মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই স্থানীয়রা আজ সুযোগ পেয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। আশুলিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’