আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৩

গাজায় ঢুকেছে ত্রাণবাহী ১০৬ ট্রাক

গাজায় ত্রাণবাহী ১০৬টি ট্রাক ঢুকেছে। গতকাল বুধবার জরুরি সহায়তাসামগ্রী নিয়ে এসব ট্রাক মিসর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ঢোকে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে এক্স বার্তায় (সাবেক টুইটার) এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ত্রাণের পাশাপাশি কুয়েত থেকে আনা পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স গাজায় পৌঁছেছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছে, গত ২১ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণবাহী ৭৫৬টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটা অপ্রতুল। এসব ট্রাকে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী নেওয়া হলেও গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। ইসরায়েল গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গতকাল বুধবার পর্যন্ত নারী, শিশুসহ সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

গাজায় শরণার্থী শিবিরের অবস্থা ভয়াবহ

গাজায় শরণার্থী শিবিরগুলোর পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। চিকিৎসক এবং নার্সরা গাজায় শরণার্থী শিবিরে অবিরত চিকিৎসা করে চলেছেন। মার্কিন এক নার্সকে উদ্ধার করা হয় এই শরণার্থী শিবির থেকে। সেখান থেকে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তাঁর ভাষায় গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই। শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রয়েছেন। কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে মাত্র চারটি টয়লেট। দিনের বেলা মাত্র চার ঘণ্টা সেখানে পানি আসে। তাহলে কি ভয়াবহ অবস্থায় তারা সেখানে দিন কাটাচ্ছেন ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। এর পাশাপাশি সেখানে প্রচুর শিশুও রয়েছেন যাদের ইতোমধ্যেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সঠিক স্থান না পেয়ে যেখানে সেখানে ওষুধের কাজে ব্যবহৃত নানা সামগ্রী পড়ে রয়েছে। ফলে নানা ধরনের রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ফলে বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না, জানালেন কালহান নামে ওই নার্স। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন না। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তাই তাকে বেরিয়ে আসতে হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত
শিশুদের জন্য ভয়াবহতম যুদ্ধ

আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন অক্টোবরের শেষের দিকেই বলেছিল, তিন সপ্তাহেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা সাম্প্রতিককালের বৈশ্বিক সংঘাতে শিশুমৃত্যুর হারকে ছাড়িয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে ছাড়িয়েছে মোট সংখ্যাকেও। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা বলেছে, গাজায় গড়ে দিনে মারা যাচ্ছে ১৬০ শিশু। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজা পরিণত হয়েছে শিশুদের কবরস্থানে। গাজায় নিরন্তর ইসরায়েলি হামলায় সাদা কাফনে মোড়ানো ছোট ছোট শরীর আর তাকে ঘিরে শোকার্ত পরিবারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুদ্ধ এক মাস পেরোলেও গাজায় ঠিক কতজন শিশু নিহত হয়েছে সেই সংখ্যাটাও শতভাগ সম্পূর্ণ নয়। তবে এ সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার সংঘাতে শিশুমৃত্যুর হার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অন্য বড় সংঘাতগুলোকে স্পষ্টতই ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

‘নেতানিয়াহুকে বলতে এসেছি— চলে যাও, চলে যাও’

ইসরাইলি পার্লামেন্টের সামনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে একদল মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অনেকের পরিবারের সদস্য ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে নিহত হয়েছেন। অনেকের পরিবারের সদস্য হামাসের কাছে জিম্মি।এমনই একজন হলেন মাওজ ইনোন। গত ৭ অক্টোবর নেটিভ হাআসারা এলাকায় হামাসের বন্দুকধারীর হামলায় মাওজের মা-বাবা নিহত হয়েছেন। মাওজ ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি দেওয়া একটি পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মাওজ বলেন, তিনি দুঃখের সাগরে ডুবে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আমার মা-বাবার সঙ্গে প্রতারণামূলক আচরণ করেছেন। সরকার গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৪০০ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। জিম্মি করে রাখা ২৪০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’মাওজের ৭৬ বছর বয়সি মা বিলহা নেতানিয়াহুর বিরোধী ছিলেন। মাওজের মা বিলহা ও বাবা বিক্ষোভে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাদের হত্যা করা হয়। মাওজ বলেন, ‘আমি এ কারণে বিক্ষোভে এসেছি। আমি এখানে বলতে এসেছি—চলে যাও, চলে যাও।’ সূত্র: যুগান্তর

উত্তর গাজা ছেড়েছে ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি, দাবি ইসরায়েলের

হামাস নিয়ন্ত্রিত উত্তর গাজা থেকে বুধবার প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় পালিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযান জোরদার করায় উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে যাচ্ছে। খবর: বিবিসি -ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছে, ‘হামাস উত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এ জন্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।’এ দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ইসরায়েল ও হামাস উভয়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন।
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১০ হাজার ৫৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর একই সময়ে ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০। সূত্র: সমকাল

ইসরায়েলের ওপর এবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি বেলজিয়ামের

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলাকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে বেলজিয়াম। গতকাল বুধবার বেলজিয়ামের উপপ্রধানমন্ত্রী পেত্রা দে সাতার এই আহ্বান জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক টুইটে তিনি এই আহ্বান জানান।
এক্সে শেয়ার করা টুইটে পেত্রা দে সাতার বলেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এখনই উপযুক্ত সময়। তাঁরা যে বোমাবাজি করছে তা অমানবিক।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ করার পাশাপাশি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানকেও উপেক্ষা করছে।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।

গুলি করে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল ইয়েমেনের হুথিরা

ইয়েমেন উপকূলে লোহিত সাগরে একটি মার্কিন সামরিক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক বাহিনী এবং একজন সিনিয়র মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ড্রোন ভুপাতিতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি ও টাইমস অব ইসরায়েল। হুথিরা জানায় যে, “ভূপাতিত ড্রোনটি একটি এমকিউ৯ রিপার ড্রোন ছিল যেটি ইয়েমেনের আকাশসীমায় ঘুরছিল। পরবর্তীতে বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা গুলি করে এটি ভূপাতিত করা হয়।“এদিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, “মার্কিন সামরিক বাহিনী এখনও বিষয়টি বিশ্লেষণ করছে যে ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল নাকি ইয়েমেনের আকাশসীমায় ছিল।“ সূত্র: দেশ রুপান্তর

ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান স্পেনের

ইসরায়েল গাজায় পরিকল্পিভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্পেন। দেশটি এ গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।স্পেনের সামাজিক অধিকার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ন বেলারা বিশ্ব নেতাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতির নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ব্যাপারে বধির নিরাবতা অবলম্বন করেছে।তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের এ পরিকল্পিত গণহত্যা অবশ্যই শেষ করতে হবে। কেন আমরা অন্যান্য সংঘাতে মানবাধিকারের পাঠ দেব আর এখানে কেবল বিশ্ব নৃশংসতা দেখে যাবে। এখানে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। তাদের মায়েরা এসব হত্যার দৃশ্য দেখে চিৎকার করছে। সূত্র: কালবেলা

গাজা সিটিতে ইসরায়েল-হামাস তীব্র লড়াই
যুদ্ধের পর তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে, ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তখনো ফিলিস্তিনিদেরই গাজা শাসন করতে হবে।

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির রাস্তায় রাস্তায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। টানেল ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে হামাস যোদ্ধারা।যুদ্ধের পর তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে, ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তখনো ফিলিস্তিনিদেরই গাজা শাসন করতে হবে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়েছে। আর হামাস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে।হামাসের সশস্ত্র শাখা বুধবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, সেটিতে গাজা সিটির বোমা বিধ্বস্ত ভবনগুলোর আশপাশের রাস্তায় তীব্র লড়াই হতে দেখা গেছে। সূত্র: বিডি নিউজ

ইসরায়েলের স্থল অভিযান জোরদারের পর গাজা ছেড়েছে ৫০ হাজার বাসিন্দা

গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল স্থল অভিযান জোরদারের পরে ওই অঞ্চল ছেড়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুধু বুধবারই শহরটি ছেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর-দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ করে দিলে বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়ে।গতকাল ইসরায়েল বলেছিলে তারা গাজা শহর ঘিরে ফেলেছে এবং গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। আর এখন তারা বলছে, হামাস গাজার উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।