বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের অবস্থান জানাল ভারত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যে পঞ্চম ‘টু প্লাস টু’ পররাষ্ট্র-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের এক পর্যায়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে।

বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। তবে এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে কী বলেছে সেটি জানা যায়নি।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে দুদেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের বর্ধিত আলোচনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের আলোচনায় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এসেছে কিনা জানতে চান দেশটির নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিক।

প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের কিছু বিষয় নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষই বাংলাদেশের বিষয়ে স্পষ্টভাবে তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার। সে হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং দেশটির জনগণ নিজেদের জন্য যে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল অবস্থার আশা করে, আমরা তাদের সে লক্ষ্যকে সমর্থন দিয়ে যাব।

Nagad

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব স্পষ্টভাবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছি। মার্কিন মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার সময় আমরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করি তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, এই আলোচনায় বাংলাদেশের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারি না। আমি মনে করি যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন বা নির্বাচনের কথা যখন আসে, তখন এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করে।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, ‘টু প্লাস টু’ সংলাপ ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, উভয় দেশের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছে। আমরা আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তায় অংশীদারিত্বকে জোরদার করছি এবং বিশেষভাবে নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলার প্রচারণায় এবং সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার নীতিগুলো সমুন্নত রাখতে কাজ করছি৷ আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সেই কাজেরই একটি মূল স্তম্ভ।