চার দিনের যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের বিনিময়ে বন্ধের অনুমোতি ইসরায়েলের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৩

৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় চার দিন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস, তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

বুধবার (২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সরকার।

যদিও বিবৃতিতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইসরায়েলের সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার তেলআবিবের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করার পর সভার অধিকাংশ সদস্যই সেটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

তবে কখন জিম্মিদের হস্তান্তর করা হবে এবং কবে থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে— সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করে এই মুহূর্তে বেশি বলাটা যথাযথ হবে না। কিন্তু আমি আশা করছি খুব শিগগিরই ভালো সংবাদ আসবে।

Nagad

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন। হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে তা হবে এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলার পর ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করে তারা। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।