মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি নিহত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের জর্জ শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতের এ দুর্ঘটনায় এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা রয়েছে আরও চারজন। খবর বার্নামা ডট কমের।

সে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Nagad

এদিকে, দুর্ঘটনার সময় ওই নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিলেন আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক ৪৩ বছর বছর বয়সী মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমিও একজন ভুক্তভোগী হতে পারতাম। কিন্তু আমার ভাগ্য ভালো আগেই ভবন থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম।’ নির্মাণাধীন ভবনের সবার ওপরের তলায় কাজ করা মহিদুল বিরতি নিতে ভবনটি থকে বের হয়েছিল।

মালয়েশিয়ায় থাকা এই বাংলাদেশি বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমি বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপরেই সেখানে চিৎকার শুনতে পাই। পরে আমি বুঝতে পারি, আমাদের ভবনটিই ধসে পড়েছে।’

মহিদুল বলেন, ‘ভবনটিতে কর্মরত বেশিরভাগ লোকই তিন মাস ধরে এখানে কাজ করছিল। এ ঘটনায় আমার বন্ধুও মারা গেছে, যার জন্য আমি বিমর্ষ।’

এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে মালয়েশিয়ার অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারী দপ্তর জেবিপিএম। আজ সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ধসে পড়া বিমটি ভারী হওয়ায় তা সরাতে তাদের বেগ পোহাতে হচ্ছে। এ জন্য ভারী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন।