রমজানের ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ইফতারকে বিশ্ব ঐহিত্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করেন মুসলিমরা। সূর্যাস্তের সময় ইফতারের মাধ্যমে সেই রোজা ভাঙেন তারা।

করাচিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইফতারকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে ইউনেস্কোর কাছে যৌথভাবে আবেদন করেছিল ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান এবং উজবেকিস্তান।

ইউনেস্কো বলেছে, ‘ইফতার (যা ইফতারি অথবা ইফতর নামেও পরিচিত) পবিত্র রমজান মাসে সকল ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সূর্যাস্তের সময় মুসলিমরা করে থাকেন।’

সংস্থাটি আরও বলেছে, রমজান মাসে মাগরিবের আজানের পর ইফতার করা হয়। এটি পারিবারিক ও সম্প্রদায়ের বন্ধন দৃঢ় করে। এছাড়া এটি দান, সংহতি এবং সামাজিক বিনিময়ে উদ্বুদ্ধ করে।

ইফতারের সময় বেশির ভাগ দেশেই খেঁজুর খাওয়া হয়। এ ছাড়া শরবতসহ আরও অন্যান্য খাবারও থাকে তালিকায়। দেশভেদে এসব খাবারের মধ্যে বৈচিত্রতা দেখা যায়।

Nagad

এদিকে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রকেও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক–২০০৩ কনভেনশন চলার সময় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এর আগে জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। এবার স্বীকৃতি পেল রিকশা ও রিকশাচিত্র। গত ছয় বছর ধরে এই শিল্পকর্মটির স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চলছিল।

এবার ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর স্বীকৃতি এবার ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর স্বীকৃতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালে এই শিল্পকর্মের নথি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘ইফতার পরিবারের মধ্যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আর তরুণ ও শিশুরা প্রায়ই ইফতারির উপকরণ প্রস্তুতের দায়িত্বে থাকে।’ সূত্র: ইউনেস্কো