ঘরে ঘরে যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৩১০

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাহিনীটি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পূর্ণ শক্তি নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। নগরীর ঘরে ঘরে এখন যুদ্ধ চলছে বলে শনিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, গাজার ঘন জনবসতি এলাকাগুলোতে জল, স্থল ও আকাশ তিন দিক থেকেই আক্রমণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। খবর তাস’র।

যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও, এই সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার গাজার বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা শহরের পূর্বে আল-দোরজ এলাকায় গোলাগুলি করেছে তারা। ওই ঘটনায় একটি বাড়ি ধসে পড়ে অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলের দুটি বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে। সেখানেও অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন ফিলিস্তিনি।

এদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম এলাকার একটি আবাসিক ভবনেও আক্রমণ করা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

Nagad

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই রয়েছেন নারী ও শিশু। শুধু তাই না, এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড্যান গোল্ডফাস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গাজার সুড়ঙ্গ পথগুলোকে ধ্বংসের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং নগরীতে ঘরে ঘরে যুদ্ধ চলছে।।

শুক্রবার রাতে হামাসের সশস্ত্র শাখা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, একজন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। ভিডিওটি একটি রক্তাক্ত দেহের ছবি দিয়ে শেষ হয়েছে, যা এক জন বন্দির বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।