স্ত্রীর বয়স ১৮ বা বেশি, বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়: ভারতের হাইকোর্ট

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩

ভারতীয় আইনে এখন পর্যন্ত বৈবাহিক ধর্ষণের কোনো স্থান নেই। অর্থাৎ বিয়ের পর যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সম্মতির কোনো ভূমিকা নেই। তারই প্রতিফলন এবার দেখা গেল এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়ে।

সঞ্জীব গুপ্তা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌতুক চাওয়া, মারধর করা এবং বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রী। মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়ে দিল, স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে তার ক্ষেত্রে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তকমা দেওয়া যাবে না।

২০১৩ সালে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী গাজিয়াবাদ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং যৌতুক বিরোধী আইন অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করেন। গাজিয়াবাদের ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্তকে সবকটি ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত করে।

ট্রায়াল কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলা করেন অভিযুক্ত। কিন্তু সেখানেও বিচারক ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন অভিযুক্ত।

সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতিদের একটি বেঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় দায়ের হওয়া বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে এ কথা জানিয়েছে।

আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতে অপরাধ হিসেবে মান্যতা পায়নি। সুপ্রিম কোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণার দাবিতে একাধিক মামলা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। তাই নির্যাতিতার বয়স যদি ১৫-১৮ বছরের মধ্যে হয়, তবেই তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।

Nagad

এরপরেই বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ থেকে সঞ্জীবকে মুক্তি দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৪৯৮ এ ধারাতেও মামলা হয়েছিল। সেই দুটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।