জাতীয় আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩

বিএনপি-সমমনা দলগুলোর ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ শুরু
নৌকায় আঘাত হানবেন যত স্বতন্ত্র প্রার্থী

আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে গোপালগঞ্জ-১ লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের আসন বলেই পরিচিত হয়ে আসছে। অবশ্য কোনো নেতার ক্যারিশমাটিক ব্যক্তিত্ব বা জনপ্রিয়তার কারণে নয়, নেহাত আঞ্চলিকতার মাপকাঠিতে এটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত আসন বলে বিবেচিত। ১৯৫১ সালে মুকসুদপুরের বেজড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া ও ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মুহাম্মদ ফারুক খান ১৯৯৫ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পরপরই আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরূপে বিজয়ী হন। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক হওয়া ফারুক খান ধাপে ধাপে সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ থেকে সরকারের মন্ত্রীও হন। বর্তমানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে আসীন থাকা এ সাবেক মন্ত্রী যথারীতি নৌকার প্রার্থী হলেও তাঁর গলার কাঁটা হয়ে বিঁধছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুকসুদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া। এই কাবির মিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের খবরে কর্নেল ফারুক খানের সমর্থককুলের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসছিল। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় নৌকার অনুসারীদের মাঝে আবারও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন কাবির মিয়া। তিনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া ৭ জানুযারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এতটাই আলোড়ন তুলেছেন যে, আওয়ামী লীগের পাঁচবারের সংসদ সদস্য কর্নেল ফারুক খানের ভাগ্য নিয়ে রীতিমতো সমর্থকরাই সংশয়ে। সংশয়ের মাত্রাটা এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছে যে, ফারুক খানের মেয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউব লাইভে এসে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভোটপ্রার্থনা করছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

পেঁয়াজ এখনো চড়া, বাড়ল তেল আর চিনির দামও
সয়াবিন তেল ও চিনির দাম এমন সময় বাড়ল, যখন পেঁয়াজের দাম হঠাৎ নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বাজারে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় নতুন করে নাম লিখিয়েছে সয়াবিন তেল ও চিনি। ডলার কিনতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে কারণ দেখিয়ে ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেল ও চিনির দাম বাড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম এমন সময় বাড়ল, যখন পেঁয়াজের দাম হঠাৎ নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। শনিবার পেঁয়াজের দাম রাতারাতি কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বাড়ার পর তা আর কমেনি।গতকাল সোমবার পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরা বাজার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজ এখনো প্রতি কেজি ২০০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমবেশি ১৮০ টাকা। দেশি মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও তা দামে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। এরই মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে অন্তত ৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানিগুলো নতুন দামের এই পণ্য বাজারে ছেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সূত্র: প্রথম আলো

আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ
ক্রেতার ঋণ কমেছে ২৯২ কোটি ডলার

ডলার সংকট মোকাবিলা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয় করতে দেড় বছর ধরে দেশে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রভাবে আমদানি কমেছে। এতে আমদানিনির্ভর ঋণ বায়ার্স ক্রেডিট বা ক্রেতার ঋণ কমছে। নয় মাসের ব্যবধানে দেশে বায়ার্স ক্রেডিট (আমদানির বিপরীতে আমদানিকারককে বিদেশি ব্যাংক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যে ঋণ দিচ্ছে) কমেছে ২৯২ কোটি ডলার। আমদানি কমায় আমদানিনির্ভর শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এ ঋণ কমায় বৈদেশিক ঋণে সুদের বোঝা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বায়ার্স ক্রেডিট স্থিতিশীল থেকে ওঠানামা করেছে। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে তা বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে। এটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কমতে থাকে। এখনো সেটি নিম্নমুখী। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে বায়ার্স ক্রেডিটের স্থিতি ছিল ৯৫৭ কোটি ডলার। গত অক্টোবর পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬৫ কোটি ডলার। আলোচ্য নয় মাসে বায়ার্স ক্রেডিট কমেছে ২৯২ কোটি ডলার। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

উৎপাদনে ভাটা, বিপাকে অর্থনীতি
* কমছে শিল্পের উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয় * প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রপ্তানিতে * দুশ্চিন্তা বাড়ছে কর্মসংস্থান নিয়েও

সরকারের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ (শিল্প-কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎ) উৎপাদন করতে পারছেন না বড় ও মাঝারি শিল্প-কারখানার মালিকরা। ফলে কারখানাগুলোর উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। উৎপাদনে ভাটা, বিপাকে অর্থনীতিদীর্ঘদিন ধরে শিল্প-কারখানায় গ্যাসের সংকট চলছে। উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় গ্যাস না পেয়ে সরকারের কাছে ধরনাও দিচ্ছেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। প্রতিবছর শীত মৌসুমে শিল্পে গ্যাসসংকট কিছুটা কম থাকে। কারণ শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের ব্যবহারও কম হয়। সূত্র; কালের কণ্ঠ

সুরক্ষা সেবার বাইরে ৯৯ শতাংশ দরিদ্র

দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি চালু করে সরকার। ২০৩২ সালের মধ্যে সব দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এ সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল। তবে বাস্তবতা হলো, গত আট বছরে ১ শতাংশের কম জনগোষ্ঠী এ সেবা পেয়েছে। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট থেকে পাওয়া এই প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার দেশে পালিত হবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য– সবার জন্য স্বাস্থ্য। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ দুপুরে এক আলোচনা সভা হওয়ার কথা রয়েছে; যেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। জানা গেছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলোকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর দায়িত্বে ছিল স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট। ২০১৬ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল ও মধুপুরে এসএসকে বাস্তবায়ন শুরু হয়। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর, বরগুনাসহ ছয় জেলার ১৬টি উপজেলায় বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলমান। সর্বশেষ ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে সেবা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটিতেও সুরক্ষা কার্ড দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের একাধিক কর্মকর্তা জানান, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর গুণগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, ব্যক্তির পকেট থেকে স্বাস্থ্যসেবার খরচ (আউট অব পকেট-পেমেন্ট) হ্রাসে ২০৩২ সালের মধ্যে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার দরিদ্রকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এই কার্ডের মাধ্যমে একজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ১১০টি রোগের সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ বিনামূল্যে পাবেন। সূত্র: সমকাল

হলফনামাসম্পদ বেড়েছে ২১ মন্ত্রীর, ঋণ ৮
বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ২১ জনের সম্পদ বেড়েছে গত পাঁচ বছরে। এর মধ্যে নয়জন মন্ত্রী আছেন, যাঁরা এই সময়ে প্রায় দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন। আর সম্পদ কমেছে মাত্র একজনের। এ ছাড়া ৮ মন্ত্রীর ব্যাংকে দায় ও ঋণ রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তাঁদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আটটি তথ্য দাখিল করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রার্থীর ব্যবসা ও পেশার বিবরণী, সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী, কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার তথ্য। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে সম্পদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রায় সব মন্ত্রীর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পদ বেশি বেড়েছে এমন মন্ত্রীদের মধ্যে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। সূত্র; আজকের পত্রিকা।

যা দেবে তাই মানতে হবে শরিকদের

১৫ বছর ক্ষমতার সঙ্গে থেকেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো নিজেদের সংগঠন সংহত করতে না পারায় জোটের নেতাদের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোটবদ্ধ থেকেও আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াতে না পারার ক্ষোভও তাদের ওপর রয়েছে শেখ হাসিনার। এজন্য তিনি জোটসঙ্গী নেতাদের সর্বশেষ বৈঠকে ভর্ৎসনাও করেছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে এ কথা জানিয়ে আরও বলেন, শরিক দলগুলোর নির্ভরতা কমাতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা ও জোটনেতাদের নৌকা প্রতীকে ভোট করার প্রবণতায় শেখ হাসিনা অনীহা প্রকাশ করেছেন। অন্য তিনবারের মতো এবার নৌকা প্রতীক না দিতে কঠোর অবস্থানে তিনি। শেখ হাসিনার নৌকা কম বরাদ্দের অবস্থানে শরিক দলের প্রার্থীরা নিরাশ হলেও মুখবুঝে সইতে হচ্ছে তাদের। উচ্চবাচ্য ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হচ্ছে তাদের। সূত্র: দেশ রুপান্তর

‘মাস্টার অফ ফাউন্টেন পেন’ মহব্বত মোস্তফা
বাংলাদেশে ফাউন্টেন পেনের এই উত্থান-পতনের একজন সাক্ষীও যদি কেউ থেকে থাকেন, তার নাম মোস্তফা কামাল পাশা। পেশায় তিনি ফাউন্টেন পেন মেরামতকারী। নানা সময়ে ভাগ্যান্বেষণে অন্য পেশায় গেলেও ফাউন্টেন পেনের সাথে তার দীর্ঘ ৪০ বছরের সখ্যতা। এ কলমের সোনালী যুগ যেমন দেখেছেন, পড়ন্ত বেলায় এখনও তার সঙ্গী ফাউন্টেন পেন। বর্তমানে ফাউন্টেন পেন যখন নতুন প্রজন্মের বিস্মৃতিতে, তখনও ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে ছোট একটি দোকান সাজিয়ে বসেন মোস্তফা কামাল পাশা।

উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হলো ফাউন্টেন পেন। এলো ভারতবর্ষে। রবীন্দ্রনাথ বাংলায় এর নামকরণ করলেন- ঝর্ণা কলম। অল্পদিনেই অভিজাত শ্রেণির সৌখিনতার সঙ্গী হয়ে উঠলো এই কলম। কিন্তু এরপর হঠাতই আবির্ভাব ঘটলো বলপয়েন্টের। বলপেনের সহজলভ্যতা একসময় ভুলিয়েই দেয় ঝর্ণা কলমের কথা। বাংলাদেশে ফাউন্টেন পেনের এই উত্থান-পতনের একজন সাক্ষীও যদি কেউ থেকে থাকেন, তার নাম মোস্তফা কামাল পাশা। পেশায় তিনি ফাউন্টেন পেন মেরামতকারী। নানা সময়ে ভাগ্যান্বেষণে অন্য পেশায় গেলেও ফাউন্টেন পেনের সাথে তার দীর্ঘ ৪০ বছরের সখ্যতা। এ কলমের সোনালী যুগ যেমন দেখেছেন, পড়ন্ত বেলায় এখনও তার সঙ্গী ফাউন্টেন পেন। বর্তমানে ফাউন্টেন পেন যখন নতুন প্রজন্মের বিস্মৃতিতে, তখনও ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে ছোট একটি দোকান সাজিয়ে বসেন মোস্তফা কামাল পাশা। ফাউন্টেন পেন সংগ্রাহকদের অনেকের কাছেই তিনি ‘মাস্টার অফ ফাউন্টেন পেন’! সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করছেন না প্রধানমন্ত্রী’

দৈনিক সমকালের শিরোনাম ‘জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করছেন না প্রধানমন্ত্রী’। এ খবরে বলা হচ্ছে, জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি দলটি আগামী নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে বলেও তিনি মনে করছেন।গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আগামী সাতই জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন ভাগাভাগির প্রসঙ্গ ওঠে। এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নিয়ে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, রংপুর-১ আসনের এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আড়াই কোটির বেশি শিশু পাচ্ছে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল
মঙ্গলবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল আর বুধবার ১২ থেকে ৫৯ মাস ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সারাদেশের ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী আড়াই কোটির বেশি শিশুকে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা ৮টা থেকে দেশে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। জাতীয় পুষ্টিসেবার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার শিশুকে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।” চিকিৎসক মিজানুর রহমান বলেছেন, মঙ্গলবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।আর ১২ থেকে ৫৯ মাস ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ শিশুকে খাওয়ানো হবে লাল রঙের ক্যাপসুল। তবে এই বয়সী শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বুধবার। সূত্র: বিডি নিউজ