শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। স্থানীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছিটমহলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববারের হামলা জাবালিয়া শহরের আল-বারশ এবং আলওয়ান পরিবারের একটি আবাসিক ব্লকে আঘাত হানে। এতে ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন।


ওয়াফা তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কয়েক ডজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বোমা বর্ষণে শিবিরের কয়েকটি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আহতদের সন্ধান করছিলেন এবং উদ্ধার হওয়া শিশুসহ আহতদের মধ্যে অনেককে কাছাকাছি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এ হামলায় তাদের সংগঠনের মুখপাত্র দাউদ শেহাবের ছেলে নিহত হয়েছেন।
তিনি ফোনে বলেছিলেন, আমরা বিশ্বাস করি ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করে আহতদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
এদিকে দক্ষিণ গাজায় গোলাবর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিচ্ছেন এমন শহর রাফাহ ও খান ইউনিস এখন তাদের নজরে।
দক্ষিণ গাজায় বোমাবর্ষণ সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে দিন দিন আরো খারাপ করে তুলছে। খাদ্য, পানির সংকটে রয়েছে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ক্ষুধা, রোগ, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এখানকার মানুষ মারা গেলে আমি অবাক হব না।
জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ লাখ মানুষ সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।