মাহির নির্বাচনি কার্যালয়ে আগুন: চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের নামে মামলা

রাজশাহী সংবাদদাতা:রাজশাহী সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৪

ফাইল ছবি

রাজশাহী-০১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় দেউপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার রাতে প্রার্থীর পক্ষে মামলাটি করেন তার মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম।

মামলায় আসামিরা হলেন- দেওপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রিজওয়ান, দেওপাড়া ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন আলী, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোদাগাড়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল, রাজাবাড়ীহাট উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ বাবু। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, গত শুক্রবার রাতে দেওপাড়া ইউনিয়নের পালপুরে মাহির নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেন নৌকার সমর্থকরা। পরদিন রোববার গভীর রাতে দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল গ্রামে মাহির ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব ঘটনার জন্য মাহি ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে দায়ী করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর রাত সোয়া ২টার দিকে গোদাগাড়ী থানার ভাগাইল সেলিম মার্কেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া মাহির নির্বাচনী অফিসে আসামিরা দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পোস্টারসহ নির্বাচনী অফিস পুড়ে যায়। লোকজন যাতে নির্বাচনী প্রচারণা না করে এবং নির্বাচনের দিন যাতে ট্রাক প্রতীকে ভোটাররা ভোট দিতে না যায় এ জন্য আসামিরা গালিগালাজ ও হুমকি দেয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ২৯ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে পালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণাকালে আসামিরা নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়। একপর্যায়ে আসামিদের সঙ্গে কথা কটাকাটি হয়। পরে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার হুমকি দেয়। ঘটনাস্থল ত্যাগ না করলে মাহির লোকজনদের হাত-পা ভেঙে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা ৩১ ডিসেম্বর রাতে ভাগাইল সেলিম মার্কেটে ট্রাক মার্কা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে।

এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি বলেন, ‘নিজেরা নিজেরাই কার্যালয় পুড়িয়েছে। এরপর আমাদের দোষ দিচ্ছে। পায়ে পা বাধিয়ে ঝামেলা করার মতো বিষয় এটা।’

Nagad

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদানের বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দেবেন এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।