ঝিনাইদহে আটককৃত ১১ ভারতীয় গরু ৬ মাস পর মুক্তি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪

অবশেষে ভারতীয় ১১ টি গরুর মুক্তি মিলেছে। ১৯২ দিন পর (৬ মাস) নিরাপত্তা হেফাজত রাখা হয়েছিল তাদের।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করে দিলেন আদালত।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ২১ জুন গভীর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নাটীমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ১১টি ভারতীয় গরু আটক করে ঝিনাইদহ জেলা ডিবি পুলিশ । সেসময় আটক করা হয় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেন, মোঃ সাদিসহ তিন চোরাকারবারীকে। আটক তিন চোরাকারবারীকে কারাগারে পাঠানো হলেও ১১টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবু সায়েম জানান, আদালতের কাছে আটক গরু গুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু গরুর মালিকানা দাবি করে দুই ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা চলতে থাকে।

ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল আদালত থেকে মামলা গড়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। গরুর দাবিদার ওই দুই ব্যক্তি সঠিক কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। মামলায় হেরে যান তারা। এর আগেই গরু গুলো দেখ ভালের জন্য ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজ কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদর থানা চত্তরে একটি অস্থায়ী সেড নির্মাণ করেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী আরো জানান, গরু গুলো পালন করতে এ পর্যন্ত পশু সম্পদ বিভাগ ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

Nagad

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির জিয়াউর রহমান জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বর গরু গুলো নিলাম করার জন্য অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বৈজন্ত বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যর একটি নিলাম কমিটি গঠন করে দেন। নিলামে অংশ নিতে শতাধিক ক্রেতা জড়ো হয়েছিলেন আদালত চত্তরে।

নাজির আরো জানান, আজ মঙ্গলবার ওই কমিটির পক্ষ থেকে আদালত চত্তরে প্রকাশ্য নিলামে গরু গুলো ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ফারুক আজম, মোঃ ওয়াজিদুর রহমান ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ গোলাম নবী।