আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৪

নির্বাচনে ‘নির্দিষ্ট’ কিছু প্রার্থীকে জেতানোর তৎপরতায় সরকার–ঘনিষ্ঠ মহল

নৌকার প্রার্থীর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে সরকারের ঘনিষ্ঠ কোনো কোনো মহল তৎপরতা চালাচ্ছে। এসব প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নামানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও চাপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে অন্তত ১৫টি আসনে এমন তৎপরতার তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নীতিনির্ধারকদের কথা বলে কোনো কোনো মহল যাঁদের জিতিয়ে আনার জন্য এই তৎপরতা চালাচ্ছে, তাঁরা কেউ আওয়ামী লীগের দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী নন। তাঁদের বেশির ভাগই এক সময় বিএনপিতে ছিলেন। কেউ কেউ ‘কিংস পার্টি’ বলে পরিচিত বিভিন্ন দলের হয়ে নির্বাচন করছেন। সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকা থেকে এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও বলছে, কোনো কোনো মহলের এই তৎপরতার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদেরও অজানা নয়। তবে আলোচিত এসব প্রার্থীর কারও কারও অবস্থান এতই নাজুক যে জিতিয়ে আনা বেশ কঠিন। কিছু আসনে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দলীয় প্রার্থী রয়েছেন। ফলে কিছু জায়গায় এই তৎপরতার লাগাম টানার চেষ্টাও আছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের। সূত্র: প্রথম আলো

ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে নানা কৌশল

সরকারবিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচির মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার, নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নানা কৌশল করছে। সারা দেশে প্রশাসনের উদ্যোগে ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলছে।ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে নানা কৌশলসংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কয়েক বছর ধরে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় এসব নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার বাড়াতে নানা কৌশল নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টিসহ কিছু দল নির্বাচনে থাকলেও তারা তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে দলের ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই বেশির ভাগ আসনে আওয়ামী লীগ বা মিত্র ও শরিক দলের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছেন। এবার বিএনপি-জামায়াতের ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), সুপ্রীম পার্টি, কল্যাণ পার্টিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রাখা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

১০ মন্ত্রী ৪৫ এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্রের টক্কর

বিএনপিহীন নির্বাচনেও সহজে পার পাচ্ছেন না সরকারের ১০ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। এ দলে আছেন বর্তমান সংসদের আওয়ামী লীগের ৪৫ এমপিও। আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) চার প্রার্থীরও পরিস্থিতি বেহাল। নৌকা ও লাঙ্গলের এসব প্রার্থীর সামনে ‘দেয়াল’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সাত ও জাতীয় পার্টির একজন মনোনয়নবঞ্চিত এমপি। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে পাওয়া আসনভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে। প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন সরকারি দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। এ ছাড়া সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধিদের তথ্য বিশ্লেষণেও পাওয়া গেছে এমন আভাস। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে বেশির ভাগ আসনেই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেকেই জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রের পদ ছেড়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তাদের কেউ কেউ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ঘরোয়া বিবাদ। সূত্র: সমকাল

Nagad

নির্বাচনের দিন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে আ.লীগ
সংঘাতমুক্ত ভোটে নজর
দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ দলের তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা * ভোটের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংঘাত-সহিংসতা দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে দলটি। একই সঙ্গে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে ক্ষমতাসীনরা। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কেউ ভোটের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে দল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারাও বলছেন-তারা যে কোনো মূল্যে অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। ফলে নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের কর্মকাণ্ডে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সংবাদ বিফ্রিংয়ে বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মাধ্যমে যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, সেটা আরও গতিময় হবে। দেশের ভবিষ্যৎ সুসংহত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে পরিবর্তনের কথা বলছে, সেটা তাদের আসল কথা নাও হতে পারে। কারণ বিএনপি বলে একটা করে আরেকটা। তারা সত্যি কথা বলছে এটা এখন বলার সুযোগ নেই। ৪ তারিখ পর্যন্ত তারা লিফলেট বিতরণ করবে, এরপর তাদের ভূমিকাটা কী, সেটা আমরা লক্ষ্য করব। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি সংঘাত-সহিংসতার অপচেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আমরা মনে করি, তারা সফল হবে না। কারণ সাধারণ মানুষ নির্বাচনের পক্ষে। মানুষের এই স্রোত তারা বন্ধ করতে পারবে না। ভোটের আগে বা ভোটের দিন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই, ফলে এ বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক আছি। সূত্র: যুগান্তর

ভোটের হুমকি ৫২ আসনে
অস্ত্রবাজদের তৎপরতায় দুই পক্ষই মুখোমুখি। ইসিতে অভিযোগের স্তূপ, ৭ জানুয়ারি সংঘাতের শঙ্কা, কোথাও কোথাও আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫২ আসনে হুমকি রয়েছে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীদের জড়ো করার অভিযোগ তুলছেন। তারা শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন, লিখিতভাবেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করছেন। ইসিতে অভিযোগের স্তূপ জমা পড়ছে। অভিযোগে তারা ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন বড় ধরনের সংঘাত-সহিংসতার শঙ্কা করেছেন। কোনো কোনো এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছেন। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসপি ও রূপগঞ্জের ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এরা থাকলে ৭ জানুয়ারি ভোট সুষ্ঠু হবে না বলে তাদের অভিযোগ। জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আর মাত্র দুই দিন বাকি। নির্বাচনে প্রচার ঘিরে সংঘাত-সহিংসতা, ক্যাম্প ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা থামছেই না। সর্বশেষ বরিশাল-২ আসনের বানারীপাড়ায় নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এ এলাকায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাইয়াজুল হক রাজুর অভিযোগ, ‘বাইশারী গ্রামে তাঁর সমর্থকদের একটি মিছিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সমর্থকরা হামলা ও গুলি চালান।’ স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের লোকজনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। প্রশাসনের যে পরিমাণ তৎপরতা দেখানো দরকার ছিল, তা দেখানো হয়নি। যে কারণে সংঘাত বেড়েই চলেছে। কুমিল্লার দেবিদ্বার, চৌদ্দগ্রাম, দাউদকান্দি, সদর, মুরাদনগর আসনে উত্তজনা বিরাজ করছে। ভোটের দিন রক্তক্ষয়ী সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব আসনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চান প্রার্থীরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ডিএনএ পরীক্ষায় ঝুলে গেছে ধর্ষণের ৫ হাজার মামলা

অস্বাভাবিক ধীরগতিতে চলছে পাঁচ হাজারের বেশি ধর্ষণ মামলার তদন্ত। এর মধ্যে সাত থেকে আট বছর আগের মামলাও আছে। নির্ধারিত সময়ে আসামি ও ভুক্তভোগীর ডিএনএ এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে না পাওয়ায় এসব মামলার তদন্ত শেষ করতে পারছে না পুলিশ। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার সঠিক তদন্তের জন্য দ্রুত ডিএনএ পরীক্ষার ওপর জোর দিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটি। সময়মতো ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনার কথাও বলছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর সম্প্রতি সারা দেশে তদন্তাধীন পাঁচ হাজার ধর্ষণ মামলার বিলম্বের কারণ খোঁজার উদ্যোগ নেয়। সেই অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ দেখেছে, তদন্তে বিলম্বের নেপথ্য কারণ ডিএনএ ও রাসায়নিক প্রতিবেদন সঠিক সময়ে না পাওয়া। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়মিত অপরাধবিষয়ক সভায় বিষয়টি উঠে আসে। পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতিকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দেশের কোনো আইনে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের ডিএনএ বা রাসায়নিক প্রতিবেদন দিতে সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি, যা থাকা উচিত ছিল। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলে প্রতিবেদন পেতে এ রকম বিলম্ব হতো না। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।

অযোগ্যদের ঋণ দিতে সুবিধার মেয়াদ বাড়ল

গ্রাহকের গুণগত মান যাচাই করে ঋণ বিতরণে ফের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমান আইন অনুযায়ী ঋণ পাওয়ার অযোগ্য হলেও এসব গ্রাহককে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অযোগ্যদের ঋণ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন উদ্যোগ ব্যাংক খাতে মন্দ ঋণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিসিআরআর) নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো গ্রাহক ৮০-এর বেশি নম্বর পেলে তাকে ‘চমৎকার’, ৭০-এর বেশি এবং ৮০-এর কম নম্বর পেলে ‘ভালো’, ৬০-এর বেশি এবং ৭০-এর কম পেলে ‘প্রান্তিক’ এবং ৬০-এর নিচে নম্বর পেলে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিং দেওয়া হবে। তবে কোনো গ্রাহক গুণগত রেটিংয়ে যত নম্বরই পাক না কেন, পরিমাণগত রেটিংয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর না পেলে তাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিং দেওয়া হবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নীতিমালার এই অধ্যায়ে শিথিলতা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বিদ্যুতের বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধে আজ থেকে বন্ড ইস্যু করতে যাচ্ছে সরকার

ভর্তুকি বকেয়া থাকার কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) ও সার আমদানিকারকদের ব্যাংকে জমে যাওয়া বকেয়া নিষ্পত্তির জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করা শুরু করছে সরকার। ২০২৩ সালের জুন থেকে ব্যাংকের মোট ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দায়-দেনা পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় আজ থেকে পর্যায়ক্রমে ৪০টি ব্যাংককে ধাপে ধাপে বন্ড ইস্যু করবে। মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানান, এক্ষেত্রে বন্ডের কুপন রেট বা সুদ হার ধরা হয়েছে ৭.৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত রেপো রেটের প্রায় সমান। গত জুন পর্যন্ত সার ও বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সার আমদানিকারক ও বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সরকারি-বেসরকারি ৪০টি ব্যাংকে দেনার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ব্যাংক দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর সার আমদানিকারকদের মোট ব্যাংক দেনার পরিমাণ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।অর্থ বিভাগের ট্রেজারি এন্ড ডেবট ম্যানেজমেন্ট অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে বৃহস্পতিবার বন্ড ইস্যু করার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার বন্ড দুটি ইস্যু করা হবে। কোনো কারণে বৃহস্পতিবার ইস্যু করা না গেলে আগামী সোমবার তা ইস্যু করা হবে।’ সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ঢাকা-১৫ আসন
প্রচারণা শুধু পোস্টারেই; আ.লীগ নেতা বললেন, নির্বাচন অটোপাসের মতো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। ঢাকা-১৫ আসনে প্রার্থীদের প্রচারণা শুধুমাত্রই পোস্টারেই সীমাবদ্ধ। হচ্ছে না মাইকিং, বসছে না একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প। যে কারণে এ আসনে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ হচ্ছে না বলে মানছেন ভোটাররা। আবার আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন অটোপাসের মতো। সে কারণেই হয়ত তেমন আমেজ নেই শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের এ নির্বাচনী আসনে। স্থানীয় ভোটাররাও বলছেন তাই, নির্বাচনের জন্য খুব বেশি প্রচারণার দরকার নেই। সরকার একতরফা নির্বাচন করছে, তাই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা প্রচারণার পেছনে খরচ না করে দেশ ও দশের পেছনে খরচ করুক। শীত মৌসুম চলছে, রাস্তা-ঘাটে রাতের বেলা অনেক ছিন্নমূল মানুষ অবস্থান করে। তাদের জন্য ভোটের আগে প্রার্থীরা কিছু করুক। ঢাকা-১৫ আসনে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ মোট প্রার্থী ৮ জন। আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিয়ে এ আসনে বহুদিন ধরেই রাজনীতি করে আসছেন কামাল। অপর প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির সামসুল হক (লাঙ্গল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক পার্টির (জাসদ) মুহাম্মদ সামসুল ইসলাম (মশাল), তৃণমূল বিএনপির খন্দকার মো. ইমদাদুল হক (সোনালী আঁশ), বিএনএফের এস এম ইসলাম (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নাজমা বেগম (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সামসুল আলম চৌধুরী (একতারা) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আশরাফ হোসাইন সরকার (ডাব)। সূত্র: বাংলানিউজ

‘দুই ব্যাংক‌কে দি‌য়ে শুরু হ‌চ্ছে ভর্তু‌কির বিপরী‌তে সরকারের বন্ড ইস্যু’

বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম, দুই ব্যাংক‌কে দি‌য়ে শুরু হ‌চ্ছে ভর্তু‌কির বিপরী‌তে সরকারের বন্ড ইস্যু। এতে বলা হচ্ছে, সংকটের কারণে বিভিন্ন খাতের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। এতে করে ব্যাংকের দেনা শোধ করতে পারছে না গ্রাহকরা। তাই এ সংকট সমাধানে ভর্তুকির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অনুকূলে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।প্রথমে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে সার কেনার ভর্তুকির বিপরীতে বন্ড ইস্যু করা হবে।এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি এটি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।