দ্বাদশ নির্বাচন: হেরে গেলেন যেসব হেভিওয়েট প্রার্থী
বহু কারণে আলোচিত এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোট শরীক দলের বড় নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী মন্ত্রীদের অনেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৬২টি আসনে। আর ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। অন্যান্য দল থেকে জয়ের মুখ দেখেছেন এক প্রার্থী।
ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা গেছে- হেরে যাওয়া হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম), আওয়ামী লীগের আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, শামীম হক, মমতাজ বেগম, মাহিয়া মাহি উল্লেখযোগ্য।


দ্বাদশ নির্বাচন: হেরে গেলেন যেসব হেভিওয়েট প্রার্থী
বহু কারণে আলোচিত এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোট শরীক দলের বড় নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী মন্ত্রীদের অনেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৬২টি আসনে। আর ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। অন্যান্য দল থেকে জয়ের মুখ দেখেছেন এক প্রার্থী।
ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা গেছে- হেরে যাওয়া হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম), আওয়ামী লীগের আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, শামীম হক, মমতাজ বেগম, মাহিয়া মাহি উল্লেখযোগ্য।
পিরোজপুর-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন সাত বারের এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। রোববার রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, অবশ্যই নির্বাচন সঠিক হয়েছে।
কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জাসদের এই সভাপতি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমি এখন কী বলবো, সারাদেশের ফলাফল আসুক। সবকিছু মূল্যায়ন করার পর কথা বলবো।
কুষ্টিয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ২৩ হাজার ৩৫৪ ভোটে হেরে গেছেন হাসানুল হক ইনু।
তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ নেতা দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে সোনালি আঁশ মার্কায় প্রার্থিতা করে হেরেছেন।
রাত ১০টার দিকে দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে আমাদের কোনও প্রার্থী জিতেনি। এ নিয়ে কোনও কথা বলবো না। আমাদের যারা প্রার্থিতা করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে দলের অবস্থান জানাবো।
দলের মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের মন্তব্য, আমি কিছুটা অসুস্থ, সুস্থ হলে চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে কথা বলে জানাবো।
মুন্সিগঞ্জ থেকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন বিকল্পধারার বর্তমান এমপি মাহী বি চৌধুরী।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের কাছে। অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
নির্বাচনে রংপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। আসাদুজ্জামান বাবলু পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মসিউর রহমান রাঙ্গা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।