আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
গোলটেবিল বৈঠক
বড় প্রকল্প ২ বছর বাদ থাকুক, চিহ্নিত হোক লুণ্ঠিত ঋণ
সামষ্টিক অর্থনীতি অস্থিতিশীলতার মধ্যে আছে। এমন সময়ে দেশে নতুন কোনো মেগা প্রকল্প নেওয়া অন্তত দুই বছরের জন্য বাদ দিতে হবে। আর চিহ্নিত করে আলাদা করতে হবে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের মধ্যে লুণ্ঠিত ঋণ বা বেনামি ঋণ। সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংস্কার করতে দরকার টাস্কফোর্স গঠন করা। প্রথম আলো আয়োজিত ‘অর্থনীতি: নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে গতকাল শনিবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেনের সঞ্চালনায় এতে সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কমানো। আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নামানো একটা ‘অতি আশা’। সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই নতুন সরকারের সদিচ্ছা লাগবে বলে মনে করেন তাঁরা। তাঁদের পরামর্শ হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার আরও বেশ হারে বাড়াতে হবে, পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতির স্বার্থে দরকার বাজার তদারকি, ব্যাংক খাতের সংস্কার, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া এবং ব্যবসাবান্ধব বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করা। সূত্র: প্রথম আলো


মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে আঞ্চলিক মহাসড়কে
ঘটনাস্থল সিলেট-জাফলং মহাসড়ক। গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে যাত্রীবাহী একটি গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী ট্রাক। এতে চারজনের মৃত্যু ঘটে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের সইপাড়া এলাকায়ও একই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুজনের।একই দিন সকাল ৮টায় দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যায় দুজন। দেশের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে প্রায়ই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। ঝরছে অনেক যাত্রীর প্রাণ। পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে অনেকে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
দরপতনে লেনদেন শুরু শেয়ারবাজারে
ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর আজ রোববার ব্যাপক দরপতনে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে শুরুর তুলনায় প্রথম ঘণ্টা শেষে পতনের হার কমে আসার আভাস মিলছে। রোববার বেলা ১১টায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর দেড়শ শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হচ্ছিল (এ অর্থাৎ আজ সর্বনিম্ন যে দরে কেনাবেচা করা যাবে) এবং এসব শেয়ারের ক্রেতা ছিল না। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯২ শেয়ারের মধ্যে ৩৫৯টির লেনদেন শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ২৫টি দর কেনাবেচা হতে দেখা যায়। দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ৩১১টি এবং দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হয় ২৩টি। প্রথম ঘণ্টা শেষে ডিএসইএক্স সূচক ১৪১ পয়েন্ট হারিয়ে ৬১৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। সূচক পতনের হার ছিল ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। প্রথম ঘণ্টায় ২০৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৩২ কোটি টাকা বেশি। গত বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ১৭৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। সূত্র: সমকাল
এলএনজি সরবরাহ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে
শীঘ্রই কাটছে না গ্যাস সংকট
দ্বিতীয় ভাসমান টার্মিনাল সংস্কার শেষে ফিরবে মার্চের প্রথমদিকে
সহসাই কাটছে না গ্যাস সংকট। মূলত এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে একটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ায় চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও ২-৩ দিন লাগবে। তবে দেশজুড়ে তীব্র গ্যাস সংকট স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে আরও ২ মাস লাগবে। কারণ মেরামতে যাওয়া দ্বিতীয় ভাসমান টার্মিনালটি সংস্কার শেষে ফিরে আসবে মার্চের প্রথম দিকে।মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। দুটি থেকে দিনে ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এখন একটি টার্মিনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ১ নভেম্বর বন্ধ করা হয়। দেড় মাস পর চালুর কথা থাকলেও আড়াই মাস পর গতকাল শুক্রবার রাতে চালু করা হয়। একই দিনে মহেশখালীতে চালু টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি আগামী মার্চে চালু করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে এলএনজি সরবরাহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে। পেট্রোবাংলার পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, শিল্প, সার গৃহস্থালি, সিএনজিসহ সাতটি সেক্টরে দৈনিক মোট চাহিদা দাঁড়াবে ৩,৭১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বর্তমানে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাসের ঘাটতি আছে। সূত্র: যুগান্তর
মেট্রোস্টেশন এলাকা নষ্ট করছে ভবঘুরেরা
প্রায়ই মেট্রো ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের লিফট দখলে রাখছেন যুবকরা
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পূর্ণমাত্রায় চলাচল শুরু হয়েছে গতকাল শনিবার। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা থেকে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে। আর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেল ছেড়ে রাত ৯টায় উত্তরা স্টেশনে গিয়ে থামছে। মেট্রোরেলের পূর্ণমাত্রার প্রথম দিনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক যানে স্বস্তিতে চলাচলের সুযোগ পাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস। তবে শুরুতেই চার চ্যালেঞ্জে পড়েছে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা। যার সমাধানে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কারিগরি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, মেট্রোরেল দেশে প্রথম হওয়ায় যাত্রীদের এই যানের বিষয়ে অনেক অনভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে নিয়মিত যাত্রীরা বিষয়গুলো অবগত হয়েছেন। এর পরও বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কিছু যাত্রীসংশ্লিষ্ট বিষয়। কিছু বিষয় যান্ত্রিক। অন্যকিছু সমস্যাও রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, মেট্রোরেলের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে; লিফটের অব্যবস্থাপনা, ভবঘুরেদের উপদ্রব, যান্ত্রিক ত্রুটি ও যাত্রীদের কোচের দরজার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়েও হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ধৈর্যসহকারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াকে তারা কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর
আমদানি-রপ্তানি ব্যয় বেড়েছে, চ্যালেঞ্জে পোশাক খাত
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লোহিতসাগরে চলাচলকারী বিদেশি জাহাজে আক্রমণ করছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এ কারণে পণ্যবাহী জাহাজগুলো সুয়েজ খাল এড়িয়ে আফ্রিকা হয়ে বিকল্প রুটে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি সময়ও লাগছে বেশি। নতুন এই সংকটে আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লোহিতসাগরে চলমান অস্থিরতার কারণে ফ্রেইট চার্জ (পণ্য পরিবহন ভাড়া) ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া আফ্রিকা হয়ে ঘুরপথে চলাচল করায় জাহাজ গন্তব্য বন্দরে পৌঁছাতে প্রায় দুই সপ্তাহ বেশি সময় লাগছে। এতে বন্দরে ৪০ ফুট কনটেইনারের সংকট তৈরি হয়েছে। ক্রয়াদেশ হারাচ্ছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে ব্যবসা। পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, লোহিতসাগরে চলমান সংকটের প্রভাবে ফ্রেইট চার্জ আরও ২০-২৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে এই রুটে জাহাজ পরিচালনাকারী শিপিং কোম্পানিগুলো। আগে ইউরোপে রপ্তানি পণ্যের চালান ৩০-৩১ দিনে পৌঁছালেও বর্তমানে তা পৌঁছাতে সময় লাগছে প্রায় ৪৫ দিন। এতে অন্তত ১৫ দিন সময় বেশি লাগছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান
বঙ্গোপসাগরে বড় সাফল্য ভারতের, এখনো বিনিয়োগের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান চালিয়ে চলতি বছরের শুরুতে বড় সাফল্য পেয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে গভীর সমুদ্রে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বড় মজুদ আবিষ্কার করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন লিমিটেড (ওএনজিসি)।
সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খনির দুটি ফেজের কাজ শেষ হয়েছে। তৃতীয় ফেজের কাজ চলমান। এটি শেষ হলে এখান থেকে প্রতিদিন ৪৫ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল এবং ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ভারতের দৈনিক মোট জ্বালানি তেল উত্তোলনে খনিটি অবদান রাখবে প্রায় ১১ শতাংশ। আর গোটা ভারতের মোট গ্যাস উত্তোলনে এ অবদান হবে ১৫ শতাংশ। বঙ্গোপসাগরের কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে ব্লকটি অবস্থিত। এটিকে এখন দেশটির সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে কেজি-ডিডব্লিউএন-৯৮/২ ব্লক হিসেবে। ওএনজিসি জানিয়েছে, খনিটিতে কূপ খনন করতে গিয়ে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে ওএনজিসিকে। সেক্ষেত্রে গ্যাসের স্তরে পৌঁছতে পাইপ-ইন-পাইপ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়েছে সংস্থাটিকে। কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে জ্বালানি তেল আবিষ্কারের বিষয়টিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এখান থেকে ঠিকঠাক উত্তোলন শুরু হলে দেশটির জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি রুপিরও বেশি। সূত্র: বণিক বার্তা।
গ্যাসের স্থানীয় উৎপাদন কমায়, এলএনজি সরবরাহ বাড়াতে ১৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা
স্থানীয়ভাবে গ্যাসের উত্তোলন কমতে থাকায়– ভবিষ্যতে আরও বেশি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে। এই প্রেক্ষাপটে, জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত এ আমদানি চালান সরবরাহের জন্য ১৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। স্তাবিত ২৯৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মহেশখালী/মাতারবাড়ী- বাখরাবাদ পাইপলাইনটি ২০২৯ সাল নাগাদ নির্মাণ করা হবে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) জানিয়েছে, এটি গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে দৈনিক অতিরিক্ত ১,৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করবে। জিটিসিএল- এর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক প্রকল্প প্রস্তাব (পিডিপিপি) ইতোমধ্যে নীতিগত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন লাভের পর বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছে ঋণ প্রস্তাব পাঠানো হবে। পিডিপিপি অনুযায়ী, এ বছরই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে ২০২৯ সালের মধ্যে তা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
যেভাবে শুরু হয়েছিল ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
বাংলাদেশের আটাশতম বারের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে জন্ম হলেও মেলাটি বাংলাদেশের ক্রেতাদের কাছে পণ্য ক্রয়ের অন্যতম জনপ্রিয় মেলায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে মেলাটি শুরু হয়েছিল, তা কতটা পূরণ করতে পেরেছে, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। ঢাকার শেরে বাংলানগরে তখন থেকেই প্রতি বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।ঐ বছর থেকে প্রতিবারই ঢাকার শেরে বাংলানগরে বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে শিল্প পণ্য ও ভোগ্যপণ্য নিয়ে নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে এ মেলা ।ধীরে ধীরে এই মেলা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এই জনপ্রিয়তা ছিলো দেশের সাধারণ ক্রেতাদের কাছে। যারা কি না গৃহস্থালির জিনিসপত্র কিনতে মেলায় ভিড় করতেন। এ কারণে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ থাকতো দেশি ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছানো। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
সাজার মেয়াদ শেষ হলেও দেশের কারাগারে বন্দি ১৫৭ বিদেশি
দেশের কারাগারগুলোতে বিভিন্ন অপরাধের সাজা খাটা শেষে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকা ১৫৭ জন বিদেশি কারাবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৫০ জন ভারতের, পাঁচজন মিয়ানমারের এবং একজন করে পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিক রয়েছে।১৫৭ জনের মধ্যে ১৯ জনের মতো নারী রয়েছেন।উচ্চ আদালতের আদেশের পর কারা অধিদপ্তরের পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদনটি হলফনামা করে উচ্চ আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সাজা খাটা হলেও অন্য দেশের নাগরিক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব ব্যক্তিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়াও সম্ভব নয়।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর থানার বাসিন্দা গোবিন্দ উড়িয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার আটক করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। ওইদিনই আটক ব্যক্তিকে শ্রীমঙ্গল থানায় সোপর্দ করে তার নামে মামলা করে বিজিবি। তদন্তের পর একই বছর ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২৪২ ধারা ও দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২ আইনের ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বিচার শেষে মৌলভীবাজারের চতুর্থ বিচারিক হাকিম এম মিজবাহ উর রহমান দোষ স্বীকার এবং অতীতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ না থাকায় আদালত গোবিন্দ উড়িয়াকে ২ মাস ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সূত্র: বাংলানিউজ