ড্রোন হামলায় মার্কিন সেনাদের মৃত্যু, জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন সেনা সদস্য। সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হওয়া এই ড্রোন হামলা ও হতাহতের ঘটনা চাপ বাড়াচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর।মার্কিন সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে তার ওপর এই চাপ বাড়ছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তবে এই হামলার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কট্টর ইরান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এর উপযুক্ত জবাব দেব। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এই প্রথম কোনো হামলায় ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়া সীমান্তের কাছে জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

বিবিসি বলছে, উত্তেজনার এই তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি অনিবার্যই ছিল বলে মনে হয়। গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলো বারবার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। আর এসব আক্রমণে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মার্কিন সৈন্য আহত হয়েছেন।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র বারবার উভয় দেশের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে। তবে এবার আমেরিকাকে বিবেচনা করতে হবে, তারা ইরানকেই এই হামলার জন্য দায়ী করবে কিনা। উত্তেজনার এই বৃদ্ধি মূলত উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিতে পরিপূর্ণ।

Nagad

এদিকে রোববার সিরিয়ার সঙ্গে নিজ দেশের সীমান্তের ভেতরে সামরিক ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান। ওই ঘাঁটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটনকে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

হামলার পর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মার্কিন মিত্র জর্ডান জানিয়েছে যে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। এর আগে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহান্নাদ মুবাইদিনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল যে, হামলাটি জর্ডানের বাইরে সিরিয়া সীমান্তের ওপারে ঘটেছে।

এই মাসের শুরুর দিকে প্রথম সরাসরি কোনও জবাবে ইরাকের কুর্দিস্তানে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। যদিও এটিকে ইরানের জন্য ‘নরম লক্ষ্য’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

এছাড়া যুক্তরাজ্য এবং অন্য আরও কিছু দেশের সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সেই সশস্ত্র গোষ্ঠীও লোহিত সাগরের অতিপ্রয়োজনীয় রুটে জাহাজের ওপর হামলা বন্ধ করেনি।

এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান-সমর্থিত অন্য গোষ্ঠীগুলোরও মোকাবিলা করতে হবে। সেটিও আবার এমনভাবে যা আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করবে, কিন্তু একইসঙ্গে সেটি যেন অস্থির এই অঞ্চলটিকে অন্য কোনও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে না দেয়।