বিয়ের সাজের ট্রেন্ড মেকআপ, চোখ ও চুলের সাজ

নাজমুন নাহার, প্রদায়কনাজমুন নাহার, প্রদায়ক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪

বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে প্রত্যেকেরই আগে থেকেই পরিকল্পনা করা থাকে। সময়-মৌসুমের উপর নির্ভর করে বিয়ের প্রস্তুতি এক এক সময় এক এক রকমের হয়ে থাকে। তাছাড়া এখন সময়ের সাথে সাথে বিয়ের সাজের ট্রেন্ডও পরিবর্তন হচ্ছে। বিয়ের পরিকল্পনা একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া! আর এ ধরণের প্রক্রিয়ায় সাধারণত বিভ্রান্তি ঘটাই স্বাভাবিক। বিয়ের সাজ ও চুলের স্টাইলও এর থেকে ব্যতিক্রম নয় ।

নিজের সবচেয়ে শুভ দিনটায় কিভাবে নিজেকে অনন্য করে তুলবেন, তাই এবারের লেখায় আমরা তুলে ধরছি। চলুন জেনে নিই তাহলে কিছু বিয়ের সাজ সম্পর্কিত বিষয়।

সিলিকন মেক-আপ :

সাধারণত এই ধরনের মেক-আপ ন্যাচারাল এবং ট্রান্সপারেন্ট টাইপের হয়ে থাকে। এই মেক-আপের সবথেকে বড়ো সুবিধা হল কনের গায়ের রংকে উজ্জ্বলতর করে Makeup সম্পন্ন করা হয়। তার মানে এই নয় যে, কালো রংকে ফর্সা করা সম্ভব। আপনার ব্রাইডাল মেক-আপে আলাদা মাত্রা যোগ করে আপনাকে করে তোলে লাবণ্যময়ী।

মিনারেল বেসড মেক-আপ :

সিলিকন মেক-আপের পরেই আধুনিকাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মিনারেল বেসড মেক-আপ। সাধারণত বিয়ের দিন থেকে শুরু করে রিসেপশন পার্টির দিনটিতে কনেদের যে-ধরনের হেভি মেক-আপ করতে হয়, তাতে ভীষণভাবে ত্বকের ক্ষতি হয়। কিন্তু মিনারেল বেসড মেক-আপ আলাদা ভাবে ত্বককে নারিশমেন্ট করে, রোমকূপ বন্ধ হতে দেয় না, ফলে ত্বক থাকে প্রাণবন্ত।

মেটালিক মেক-আপ :

Nagad

এই সময়ের নতুন ট্রেন্ড হিসাবে মেটলিক মেক-আপের গ্রহণযোগ্যতাও কম নয়। মূলত এই মেক-আপের দ্বারা ত্বকে এক্সট্রা শাইনি গ্লো আনা হয়। অনেক সময় এমন কিছু কনেও পার্লারে যান যাদের ত্বক ভীষণ রুক্ষ-শুষ্ক, গ্লো-হীন অথবা খুঁতবিশিষ্ট। প্রথমে কনসিলার দিয়ে ছোটোখাটো দাগ এবং খুঁতগুলি ঢেকে দেন। তারপর গোল্ডেন নয়তো পার্ল মেক-আপের সাহায্য নিয়ে থাকেন। যাতে কনের রুক্ষশুষ্ক, গ্লো-হীন এবং দাগবিশিষ্ট ত্বকও হয়ে ওঠে ঝলমলে।

পিগমেন্ট বেসড মেক-আপ :

সাধারণত যাদের গরমকালে বিয়ে হয়, তাদের উপরই পিগমেন্ট বেসড মেক-আপ অ্যাপ্লাই করা হয়ে থাকে। এই মেক-আপের বিশেষত্বই হল অতিরিক্ত গরমেও এই মেক-আপ গলে যায় না। যে কারণে অভিনেতা অভিনেত্রীরা এই ধরনের মেক-আপই ব্যবহার করে থাকেন। এই ধরনের মেক-আপ বিভিন্ন শেডে করা যায়। প্রথমে মুখে মেক-আপ করে, তারপর ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে মেক-আপ বসিয়ে দেওয়া হয়। সেটিকেই সিল করা বলা হয়ে থাকে। তারপর ভিজে ভাব চলে গেলে তার উপর আর একবার মেক-আপ করানো হয়। যার ফলে মেক-আপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।

শিমারি মেক-আপ :

বর্তমানে মানুষ শিমারি মেক-আপের ব্যাপারেও যথেষ্ট আগ্রহী। প্রতিটি কনেকেই বিয়ের দিন বেনারসি, জারদৌসি শাড়ির সঙ্গে হেভি জুয়েলারি পরতে হয়। সুতরাং ঝাঁ-চকচকে শাড়ি আর গয়নার মধ্যে যদি আপনার ত্বকের জৌলুস কম মনে হয়, তাহলে কেমন যেন একটা অসামঞ্জস্যভাব নজরে আসে। এথনিক এবং ট্র্যাডিশনাল লুক দিতে গ্লিটারের সাহায্য নেন। গ্লিটার আইলাইনার, লিপস্টিক, আইশ্যাডো ব্যবহারের পাশাপাশি ছোটোছোটো ডায়মন্ড শেপের স্টোনও হাইলাইট করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন শিমারি মেক-আপে। বিভিন্ন জায়গায়, যেমন– আইলাইনারের ঠিক উপরে, কপালে গালের দুপাশে, এমনকী নোজ পিন হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। এই স্টোনের ঝলকে বিয়ের আসরে কনের উজ্জ্বল উপস্থিতি থেকে তাই চোখ ফেরানো যায় না।

চোখের সাজ:

চোখের সাজে এখন ভিন্নতা এসেছে, এখন সবাই হালকা সীমারী লুক করতে বেশি পছন্দ করে থাকে। একটু সিম্পল এর মধ্যে গর্জিয়াস ভাবে চোখটা সাজাতে চায়। টা ছাড়া ব্রোঞ্জ স্মোকি আই লুক, সীমারী এই লুক এখনো অনেক বেশি ট্রেন্ডি।তারসাথে মোটা করে কাজল টেনে দিলে চোখের সাজটা কমপ্লিট হয়। তাছাড়া আরো আছে রং বেরং এর কালারফুল আইলাইনার লুক।

চুলের ক্ষেত্রে:
ট্রেন্ডি শাড়ি বা গর্জিয়াস পোশাকের সাথে আধুনিক মেকআপ তো হলোই। কিন্তু চুল সামলাবেন কিভাবে? বিয়েতে গর্জিয়াস লুক পেতে চুলের সাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফ্লাওয়ার ব্রেইড
এই ধরণের চুল বাধা এখন অনেক জনপ্রিয়।প্রথমে চুলটাকে ভালো ভাবে আছড়ে একটি বেনুনি করে নিন। চাইলে ফ্রন্ট এ ফ্রেঞ্চ বেনুনি করে হালকা একটু পাফ করে ফুলিয়ে নিয়ে বাকি চুলটা বেনুনি করে তাতে ইচ্ছা মত ড্রেস এর কালারের সাথে ম্যাচ করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে নেয়া যায়

ওপেন হেয়ার স্টাইল

বিয়ের দিন সকালে চুলটা খোলা রাখলে কিন্তু মন্দ লাগবে না।জাস্ট চুলটা একটু কার্ল করে নিতে হবে।ব্যাস,তাতেই লাগবে গরজিয়াস।হালকা একটা খোলা চুলের স্টাইল,কিন্তু বেশ গরজিয়াস।

মেসি বান

এই চুলের স্টাইল টাও এখন সব জায়গায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, চুলটা একটু লুজ করে একটা খোপা করে নিতে হবে।তারপর চুল গুলো একটু টেনে টেনে বের করে সেট করে নিতে হবে। বউ সাজের সাথে চুলে ফুল টা খুব বেশি ট্রেন্ডি হয়।