কারামুক্ত হলেন মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪

১১১ দিন কারাভোগের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মুক্তি পেয়েছেন। তিনি ৩৬টি মামলায় জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্ত হয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কারামুক্ত হন তিনি। তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কর্মীরা নেতাদের ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে বলেন, ‘মির্জা আব্বাস ভাইয়ের ভয় নেই, আমরা আছি তোমার সঙ্গে’, ‘মির্জা আব্বাসের ভাইয়ের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি, ইত্যাদি স্লোগান দিতে খাকেন।’

এসময় নেতাকর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছে। আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য মুক্তির আন্দোলন চলবে। কারাগার চিকিৎসার প্রতুলতার কারণে নেতাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জেল থেকে বের হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন চলবে। জেলে অনেক কর্মী এখনও বন্দি। তাদেরও মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে আজ ঢাকা রেলওয়ে থানার এক মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। ফলে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে হওয়া ১১ মামলার সবগুলোতে জামিন পেলেন তিনি।

Nagad

এদিকে মির্জা আব্বাসের জামিনের খবরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মির্জা আব্বাস বের হওয়ার পর তাকে বহনকারী গাড়ি ঘিরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরদিন ১ নভেম্বর আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।