পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে: পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৪

পরিবেশ দূষণকারী পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে রোডম্যাপ অনুসারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন- পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা এবং সোনালী ব্যাগ নামে একটা পাটজাত ব্যাগ তৈরি করেছি৷ আমরা ডিসি সম্মেলনে ডিসিদেরও বলেছি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা এবং সোনালী ব্যাগ নামে একটা পাটজাত ব্যাগ তৈরি করেছি৷ আমরা গতকালকে ডিসি সম্মেলনে ডিসিদেরও বলেছি। পবিত্র মাহে রমজানের কারণে আমরা এই মুহূর্তে বাজারে কোনো ধরনের খোঁচা দিতে চাইনি। আমরা বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাই না। সে কারণে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার কথা বলেছি। রমজানে যেসব মিলাররা বস্তা ব্যবহার করে, তাদের এনে সভা এবং কাউন্সেলিং করার কথা বলা হয়েছে। রোজার পরে এ বিষয়ে আমরা ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে পরিবেশমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সব মন্ত্রী মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে একটি যৌথ সভা করা হবে। সেই যৌথ সভায় আমরা একটি রোডম্যাপ করব। সেই রোডম্যাপ অনুসারে আমরা পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর আওতায় ১৯টি পণ্যে পাটের মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ আইনটি প্রয়োগের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের কারণে আমরা এই মুহূর্তে বাজারে কোনো ধরনের খোঁচা দিতে চাইনি। আমরা বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাই না। সে কারণে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার কথা বলেছি। রমজানে যেসব মিলাররা বস্তা ব্যবহার করে, তাদের এনে সভা এবং কাউন্সেলিং করার কথা বলা হয়েছে। রোজার পরে এ বিষয়ে আমরা ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা ২৮২ রকম দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া, ইজারার জন্য নির্ধারিত বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২০টি মিল থেকে ইতোমধ্যে ১৪টি মিলের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দুইটি মিলের চুক্তি সম্পাদনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং অবশিষ্ট চারটি মিলের ইজারা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Nagad