বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ: ওবায়দুল কাদের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।

তিনি বলেন-বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গিবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গিবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে বিএনপি মিথ্যা বললে, জবাব তো দিতেই হবে। তারা মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুক। তাহলে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা গায়ে পড়ে কিছু বলতে যাব না।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপিকে ভাঙার অভিযোগ নিয়ে এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোনো দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বহু লোক। গত নির্বাচনে দেখেছেন প্রার্থিতা ফরম নিতে কত ভিড়। আওয়ামী লীগে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।

নির্বাচন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন-আমরা একটি দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। গণতন্ত্রের ব্যাপারে কেউ পারফেক্ট না। এদেশে ২১ বছর গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি।

Nagad

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (প্রতিনিধিত্ব) করে এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

বিএনপির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধুরাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছো, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগিতার অর্থ মানে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগিতার অর্থ তাদেরকে ক্ষমতা বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। আমরা একটি দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। গণতন্ত্রের ব্যাপারে কেউ পারফেক্ট না। এদেশে ২১ বছর গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।