বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালো শ্রীলঙ্কা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৪

লাহিরু কুমারার প্রায় ইয়র্কার লেন্থের বলটা ঠেকাতে পারলেন না খালেদ আহমেদ, হয়ে গেলেন বোল্ড। আর এতেই ইতি ঘটলো লম্বা এক সিরিজের। এতে শ্রীলঙ্কার কাছে ষষ্ঠবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই সময় দুই ম্যাচের সিরিজের দুটি ম্যাচই জিতেছিল লঙ্কানরা। এর ১৫ বছর পর আবার সেই লঙ্কানদের কাছে ধবলধোলাই হতে হলো বাংলাদেশকে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯২ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করে তারা। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয় স্রেফ ১৭৮ রানে। ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩১৮ রান করে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের ভাগ্য মূলত নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষদিনে বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। কত দ্রুত শ্রীলঙ্কা তুলে নিতে পারে বাংলাদেশের বাকি তিন উইকেট, অথবা ব্যবধান কতটুকু কমাতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজরা- সেটিই ছিল দেখার।

সবমিলিয়ে শেষদিনে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অর্জনে হাফ সেঞ্চুরি যোগ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নামের পাশে। তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদদের নিয়ে বেশ ভালো লড়াইও করেছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কেবল একটি সিরিজ ড্র করতে পেরেছে টাইগাররা। বাকি সবগুলো সিরিজই জিতে নিয়েছে লঙ্কানরা।

তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ৪৩ রানের একটি জুটি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে জুটিটি বেশি লম্বা হয়নি শান্তর ২০ রানে ফিরে যাওয়ার কারণে। পেসার লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

Nagad

এরপর বলতে গেলে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন মুমিনুল হক। হাঁকিয়েছেন ফিফটি। প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে লাহিরু কুমারার হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৬ বলে ৫০ রান করেন তিনি।

এরপর সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস লড়াই করার চেষ্টা করেন। তবে দুজনই সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাকিব করেন ৩৬, লিটন ৩৮ রান। এরপর ১৫ করে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লিউ হন শাহাদাত হোসেন দিপু।