মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদেরের চ্যালেঞ্জ, চাইলেন বন্দীর তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জানতে চেয়েছেন, ‘বন্দী ২০ হাজার নেতাকর্মী কীভাবে ৬০ লাখ হলো এ বিষয়ে তালিকা দিন। আমি মির্জা ফখরুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করছি। ছিল ২০ হাজার, হয়ে গেল ৬০ লাখ! অবিলম্বে ৬০ লাখ বন্দীর তালিকা প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই তালিকা চান।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। একাত্তরে তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে এমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?’

কাদের বলেন, ‘তারা এদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ সালে তাদের যে ভূমিকা সবাই জানে।’

দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি, তাদের (বিরোধী দল) আন্তর্জাতিক মিত্ররা, তাদের সঙ্গে সলা-পরামর্শ করে- এই সরকার ক্ষমতায় বসলেও দুর্ভিক্ষে এ সরকারের পতন হবে।’

Nagad

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই।’

পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিএনপির মন্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতিসত্তা যে দিনটি ধারণ করে সেই দিনটিকেই তারা অস্বীকার করে। তারা তো বাংলার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে। বিএনপি যদি বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বাস করত তাহলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও বিশ্বাস করত। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালির চেতনাকে বিশ্বাস করবে তা আশা করা যায় না। তারা তো স্বাধীনতাবিরোধী দল। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী সংগঠন।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানে সরকারের বেশ কিছু কার্যক্রম চলমান ছিল। তা অব্যাহত থাকবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে। ততদিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।