গাজায় যুদ্ধবিরতিতে হামাসের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

ছবি: বিবিসি

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইসরায়েল। গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামাস নেতা বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার জবাব পাঠানোর আগে এটি পর্যালোচনা করবে হামাস।

বিবৃতিতে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘ ১৩ এপ্রিল মিসরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে উপস্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে হামাস। আন্দোলন (হামাস) এই প্রস্তাব বিবেচনা করবে এবং বিবেচনা শেষ হলে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বৈঠকের বিষয়ে জানান, ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার শুরু করার উপায় খুঁজছেন তারা।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে নতুন কোনও প্রস্তাব নেই। তবে তারা সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী, যেখানে ৪০ জন জিম্মির পরিবর্তে ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

Nagad

এদিকে হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের পাঁচ বছর বা তারও বেশি মেয়াদে অস্ত্রবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। এমনকি সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল হিসেবেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রস্তুত।

এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়্যা বলেন, ‘হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন ও আন্তর্জাতিক রেজল্যুশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে। এবং এমনটা হলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।’