ফ্রান্সে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা ম্যাক্রোঁর, ভেঙে দিলেন পার্লামেন্ট
ফ্রান্সে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একইসঙ্গে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরেই হঠাৎ সংসদীয় নির্বাচনের এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লে পেনের অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালির চেয়ে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ পার্টি।


রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইইউ নির্বাচনে নিজের মধ্যপন্থি জোটকে অতি-ডানপন্থিরা পরাজিত করার পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি আগাম আইনসভা নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছেন।
হঠাৎ এই ধরনের সংসদীয় নির্বাচনকে স্ন্যাপ লেজিসলেটিভ ইলেকশন বলা হয়। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুন ফ্রান্সে প্রথম দফায় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে আগামী ৭ জুলাই।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সদ্য সমাপ্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে খারাপ ফলের কারণেই হঠাৎ করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। ইইউয়ের ওই নির্বাচনে ন্যাশনাল র্যালি থেকে শুরু করে কট্টর ডানপন্থি দলগুলো প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এই কথা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, ‘যারা ইউরোপকে রক্ষায় কাজ করতে চায়, সেই সমস্ত দলের জন্য এটা মোটেও ভালো ফলাফল নয়। অতি ডানপন্থি দলগুলো… মহাদেশের সর্বত্রই ভালো করছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে।’ তার ভাষায়, ‘এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে আমি নিজেও পদত্যাগ করতে পারছি না। আমি আপনাদেরই (জনগণ) বেছে নেওয়ার অধিকার দিতে চাই। তাই আজ রাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিচ্ছি।’
ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর সিদ্ধান্ত। কিন্তু একইসঙ্গে এটা আত্মবিশ্বাসের পদক্ষেপও। আমার আপনাদের ওপরে আস্থা রয়েছে। ফ্রান্সের জনগণ নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরাটাই বেছে নেবেন।’
এদিকে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন বছর আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন তিনি। আর এ আগাম নির্বাচনের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন মেরিন লে পেন।
ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ পার্টির বর্তমানে নিম্নকক্ষের ১৬৯ জন আইনপ্রণেতা রয়েছে, মোট ৫৭৭ জনের মধ্যে। আরএন-এর রয়েছে ৮৮ জন।