‘ডিজিটাল কোর্ট চালু করলে কারাগারে বসেই হাজিরা দিতে পারতেন’
সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলককে উদ্দেশ করে আদালত মন্তব্য করেছেন, “বিচার ব্যবস্থা অ্যানালগ কেন রেখেছেন? আপনি আইসিটি মন্ত্রী থাকাকালে কেন ডিজিটাল কোর্ট চালু করেননি? না হলে আদালতে আসতে হতো না। কারাগারে বসে হাজিরা দিতেন।
এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) যখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়ের করা মামলার শুনানিতে পলককে গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন। পলক আদালতকে জানান, করোনাকালে তিনি ডিজিটাল কোর্ট চালু করেছিলেন, কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা এগোয়নি।


আদালতে পলকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, পলক সাহেব নিয়মিত ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেছেন। তার সম্পদের সব উৎস সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তার যে সম্পদ ছিল সেই সম্পদই আঁচর। তার বাজারমূল্য বেড়েছে। যে কারণে তার মানিলন্ডারিংয়ের যে অভিযোগ তার কোনো উপাদান নেই।
তবে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি শুনানিতে বলেন, মানিলন্ডারিং দেশে-বিদেশে যেকোনো জায়গায় হতে পারে। মামলার তদন্ত হয়ে আসুক। তাদের মতো জায়গায় থেকে দুর্নীতি করা, এ অবস্থায় যদি তাদের জামিন দেওয়া হয়। তাহলে অন্যরা উৎসাহিত হবে।
এ সময় বিচারক বলেন, তার (পলক) এতো কম টাকা, সম্পদ তো অনেক কম। পি কে হালদার তো পাঁচ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুনানি করার সময় আপনারা তো বলেন হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, আদালত পলকের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয় এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতিকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।