ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৫, আহত ৪
ফরিদপুরে একটি রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে এবং বাকি দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলক্রসিংয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। খুলনা থেকে ঢাকা অভিমুখে চলাচলরত মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ ঘটে।


জানা যায়, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। ওই পথে অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। অনুমোদিত রেলক্রসিং না হওয়ায় ওই স্থানে রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। অপরদিকে ওই মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল। এ সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন জানান, “মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ধাক্কায় পাশের খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ফরিদপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, “গেরদা এলাকায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। অবৈধভাবে ব্যবহৃত এই পথেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুইজন নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালকও রয়েছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেছেন, “দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতদের দাফনসহ সকল ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।”
অবৈধ রেলক্রসিংয়ের কারণে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে থাকছে সাধারণ মানুষের জীবন। এ দুর্ঘটনা আবারও নিরাপদ রেলপথ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দিল।