গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল দখলের বিষয়ে আবারও মন্তব্য ট্রাম্পের
গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল নিয়ে নিজের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি এই দুটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহারের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফ্লোরিডার নিজস্ব রিসোর্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না, তবে আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এই অঞ্চলগুলোর প্রয়োজন।”


গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খালকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “যদি ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ড বিক্রিতে রাজি না হয়, তবে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।”
ডেনমার্ক ও পানামার সরকার ট্রাম্পের বক্তব্য কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটা ফ্রেডরিকসেন বলেছেন, “গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। আমরা মিত্র হিসেবে কাজ করে যাব।” একইভাবে, পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভিয়ের মার্টিনেজ-আচা জানান, “পানামা খাল একমাত্র পানামার অধীন এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে।”
ট্রাম্প কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তকেও “কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখা” বলে অভিহিত করেছেন এবং কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য ও সামরিক সহযোগিতা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এক টুইটে ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমাদের অর্থনীতি ও জনগণ শক্তিশালী। আমরা কোনো হুমকির কাছে মাথানত করব না।”
কূটনৈতিক বিশ্লেষক ড্যানিয়েল ফ্রিড বলেছেন, “ট্রাম্পের মন্তব্য ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন। যদি গ্রিনল্যান্ড দখলের মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়, তা ন্যাটোর জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে।”
উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে বিরল কিছু খনিজের বৃহৎ মজুদ রয়েছে, যা হাই-টেক ডিভাইস ও ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ট্রাম্পের এসব মন্তব্য বিশ্বজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। যদিও তিনি এই বিষয়গুলো নিয়ে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা এখনও অস্পষ্ট।