মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়লো ১৪২.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৫

‘১৯০ টিইইউস কন্টেইনার’ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে ৭.৫০ মিটার ড্রাফটের ‘এম ভি পাকান্ডা এন্টিগুয়া’। বারমুডা পতাকাবাহী ১৪২.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। নিয়মিত পশুর চ্যানেল ও জেটি ফ্রন্টে ড্রেজিংয়ের ফলে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক প্রেস বিঙ্গপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিঙ্গপ্তিতে আরো বলা হয়, রাশিয়ান পতাকাবাহী এম ভি মেলিনা জাহাজট রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের জেনারেল কার্গো (মেশিনারী) নিয়ে বন্দরের ৯নং জেটিতে অবস্থান করছে এবং পানামা পতাকাবাহী ১৮৬ মিটার বিশাল দৈর্ঘ্য ও ৭.১০ মিটার গভীরতার কন্টেইনারবাহী ‘মার্কস ঢাকা’ নামে আরেকটি জাহাজ ২০৭ টিইইউস নিয়ে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়বে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে মোংলা বন্দরে বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজের আগমনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রুপপুর পাওয়ার প্লান্টের মালামাল নিয়ে বন্দর জেটিতে দুইটি কন্টেইনার জাহাজ এবং ১৮টি জাহাজ বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছে।

তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোংলা বন্দরে ২৮ টি বানিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। আজ পোর্ট লিমিট এর মধ্যে ১৮ টি বানিজ্যিক জাহাজ রয়েছে। বর্তমানে পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত ১৮ টি বানিজ্যিক জাহাজসমুহে আমদানীকৃত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কয়লা, সার (জিপসাম, ড্যাপ ফার্টিলাইজার, টিএসপি, এম ও পি), ক্লিংকার, এলপিজি, কন্টেইনার পরিবাহী, পাথরের জাহাজ রয়েছে।

“২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ৪১৩ টি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন করে। ১০,৩৮৬ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়, গাড়ী বহনকারী ১০টি জাহাজের মাধ্যমে ৫৬৩৭ টি গাড়ি আমদানি হয়। এ সময়ে বন্দর দিয়ে ৫২,৮৪,৪৭১ মে.টন আমদানি-রপ্তানি হয় এবং ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে।

Nagad

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২.৩০%, কার্গো ৯.৭২%, কন্টেইনার ১৬.৭৮% এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।