আদানির কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
ভারতের আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বাংলাদেশ। বর্তমানে কেন্দ্রটি অর্ধেক উৎপাদন চালু রেখেছে, যা গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। মূলত বকেয়া পরিশোধ বিলম্ব ও শীতকালীন কম চাহিদার কারণে এ সীমিত সরবরাহ রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়। এরপর নভেম্বর থেকে কেন্দ্রটির একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) আদানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করছে এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও সরবরাহ পুনরায় চালুর আহ্বান জানিয়েছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুসারে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালুর পরিকল্পনা করেছিল আদানির প্রতিষ্ঠান। তবে উচ্চ কম্পন ও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ বকেয়া কমানোর জন্য নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করছে এবং এখন আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বড় কোনো সমস্যা নেই।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১,৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে, যার প্রতিটির উৎপাদনক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়, যার আওতায় ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি। ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রথম ইউনিট ও জুনে দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসে।
বাংলাদেশ এখন কেন্দ্রটির পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে চাইছে এবং নিয়মিত পরিশোধের মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
