মাংসের দাম বেড়েছে, সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাজধানীর বাজারগুলোতে গরু ও মুরগির মাংসের চাহিদা বেড়েছে, যার ফলে দামেও কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বাজারভেদে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। তবে বাজারে এখনো বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি, যার ফলে দামও বাড়তি রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজারের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু স্থানে দরদাম করলে ১০-২০ টাকা কমেও বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় পৌঁছেছে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০-৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেশি।


মাসখানেক ধরে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকট চলছে। দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল সহজে মিলছে না, ফলে খোলা তেলের দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যদিও বোতলের নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা।
অন্যান্য পণ্যের দাম ও বাজার পরিস্থিতি
পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক: প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা।
রসুনের দাম বেড়েছে: দেশি রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৫০-২৫৫ টাকা।
ডাল ও ছোলার দাম অপরিবর্তিত: মসুর ডাল ১৩০-১৪০ টাকা, ছোলা ১১০-১২০ টাকা।
এদিকে সবজির বাজার এখনো ক্রেতার নাগালে। যদিও কিছুটা বেড়েছে বেগুনের দাম। প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া মুলা ও শালগমের কেজি ১৫ থেকে ২০, শিম ও গাজর ৩০ থেকে ৪০, ফুল ও বাঁধাকপির প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শবে বরাত উপলক্ষে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে, তবে তেল সংকটসহ কিছু পণ্যের দাম বাড়ায় ভোক্তাদের চাপও বেড়েছে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে সাধারণ ক্রেতারা চিন্তিত।