যুদ্ধবিরতির অমান্য করে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত দুই শতাধিক
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আলজাজিরার সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানানো হয়, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটি সবচেয়ে বড় হামলা।


চিকিৎসাবিদদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-দারাজ পাড়ার আল-তাবি’ইন স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর পুনরায় হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং শিন বেইটের সহযোগিতায় হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
ছয় সপ্তাহের প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করতে ইসরায়েল অস্বীকৃতি জানালে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতামূলক আলোচনা শুরু হয়। তবে সেই আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই নতুন করে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সূচনা হলো।