গাজায় হাসপাতালসহ ইসরায়েলের হামলা, নিহত আরও এক হামাস নেতা
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার নাসের হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে, এতে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল বারহুমসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে, গাজার আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন।


স্থানীয়দের দাবি, এ হামলায় বারদাউইল ও তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
দুই মাস যুদ্ধবিরতির পর মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে।
তবে হামাস ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
এদিকে ইয়েমেনেও সমানতালে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের দুটি এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রাজধানী সানার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও রয়েছে যেখানে কমপক্ষে একজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইয়েমেনেও যুক্তরাষ্ট্র সমানতালে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজধানী সানার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে।
গাজায় এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।