দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছে অন্তত ১৯ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু পরিস্থিতিকে “দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল” বলে উল্লেখ করেছেন।

হাজারো মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
এখন পর্যন্ত ২৩,০০০ এরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানলে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১,৩০০ বছরের পুরনো গউনসা বৌদ্ধ মন্দির সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

বুধবার উইসিয়ং কাউন্টির পাহাড়ে একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রচেষ্টা
প্রায় ৫,০০০ সামরিক সদস্যসহ হাজার হাজার দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারও আগুন নেভাতে সহায়তা করছে।

জাতীয় অগ্নি সংস্থা চলতি বছরের প্রথম সর্বোচ্চ অগ্নি সংকট সতর্কতা জারি করেছে।

Nagad

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানল
এ পর্যন্ত প্রায় ১৭,০০০ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে, যা আয়তনের দিক থেকে দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল। দাবানলে জোসন রাজবংশের (১৩৯২-১৯১০) সময়ের একটি জাতীয় সম্পদও পুড়ে গেছে।

প্রেসিডেন্ট হান জানিয়েছেন, আমরা মরিয়া হয়ে বৃষ্টির অপেক্ষা করছি, যা আগুন নেভাতে সহায়ক হতে পারে।” তবে কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই এবং বৃহস্পতিবার মাত্র ৫-১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরে ইতোমধ্যে ২৪৪টি দাবানল রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৪ গুণ বেশি।

শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সানচিয়ং কাউন্টিতে প্রথম দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত পার্শ্ববর্তী উইসিয়ং, আন্দং, চেওংসং, ইয়ংইয়াং ও ইয়ংডক শহর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

দাবানল মোকাবেলায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হান।