জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুলাই গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন শিগগিরই পাওয়া যাবে।
আজ বুধবার (২ এপ্রিল) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রসিকিউশনে মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে, খুব শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ রয়েছে, তার সরকারের সময় জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণহত্যা চালানো হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, শুধু জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নয়, বিগত ১৫ বছরে গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষকে সাদা পোশাকধারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যেত। অধিকাংশই আর ফিরে আসেনি, আর যারা ফিরেছেন, তাদের অনেককে সাজানো মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।
বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সরকার তার প্রত্যর্পণের জন্য কূটনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর বলেন, আমরা চাই, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আইনের মুখোমুখি হোক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় তার প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, যা এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে এসেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের চেষ্টা ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।