৪০ মিনিটের বৈঠক: কী নিয়ে কথা বললেন ইউনূস ও মোদি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৫

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের শেষ দিনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ৪০ মিনিটের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই ছিল দুই নেতার প্রথম বৈঠক।

সূত্র জানায়, এটি পূর্বনির্ধারিত কোনো বৈঠক ছিল না। দুই দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে। ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দু জানায়, বৈঠকে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিক্রম মিশ্রি সংবাদ সম্মেলনে জানান, “প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, বাংলাদেশে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ব্যবস্থাকে ভারত সবসময় সমর্থন করবে। দুই দেশের জনগণের কল্যাণে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।”

ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, গঙ্গা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়গুলো তুলে ধরেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন এবং বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লিতে আশ্রিত। গত ছয় মাস ধরে বাংলাদেশ তাকে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও এখনো সফল হয়নি।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র বিক্রম মিশ্রি বলেন, “শেখ হাসিনা ইস্যুতে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তবে এর বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে না।”

Nagad

বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনূসকে অনুরোধ করেন এবং “যে কোনো উসকানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান”।

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নিয়ে ড. ইউনূসের এক মন্তব্য ভারতে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। বৈঠকে মোদি পরোক্ষভাবে সেই প্রসঙ্গও তোলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বৈঠক ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জলবন্টন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা—সবকিছু মিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের দিকনির্দেশনা নির্ভর করবে আসন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার ওপর। সূত্র: দ্য হিন্দু