চট্টগ্রামে খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ ছয় মাসের শিশু, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় নালায় পড়ে ছয় মাস বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উদ্ধারে এখনো তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিচ্ছেন।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে যাচ্ছিলেন মা ও তার শিশু। হঠাৎ রিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক হোটেলের পাশের নালায় পড়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে মা ও সন্তান দুজনই পানিতে পড়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় মাকে উদ্ধার করা গেলেও শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্ধার কার্যক্রম তদারক করছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রামে খোলা নালা ও ড্রেনের কারণে এর আগেও একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে বৃষ্টির মধ্যে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন এক সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। ২৭ সেপ্টেম্বর একই বছর আগ্রাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার মৃত্যু হয়।২০২২ সালে ষোলশহর এলাকায় শিশু কামাল নিখোঁজ হয় এবং তিন দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদে ১৮ মাসের শিশু ইয়াসিন আরাফাত নালায় পড়ে মারা যায়।
২০২৪ সালের জুনে গোসাইলডাঙ্গায় ৭ বছরের শিশু সাইদুল ইসলাম খালে পড়ে নিখোঁজ হয় এবং পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায়।
একটির পর একটি এমন দুর্ঘটনার পরও খোলা নালা ও ড্রেনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। প্রাণহানির প্রতিটি ঘটনার পর কিছুদিন জনমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা থেমে যায়। খোলা মুখের নালাগুলো রয়ে যায় আগের মতোই।
চট্টগ্রামবাসীর প্রশ্ন, আর কত প্রাণ গেলে সিটি কর্পোরেশন নেবে বাস্তব পদক্ষেপ?