রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ৮ মে
২০০১ সালে রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে সংঘটিত বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ের জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।


এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হয়।
হাইকোর্ট ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে, তবে এতদিন চূড়ান্ত রায় হয়নি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ঘটনাস্থলে ৯ জন এবং পরে আরও একজন নিহত হন। আহত হন বহু মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—আল-মামুন হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী, আবুল কালাম আজাদ, মো. জসিম উদ্দিন, মো. এমরান হোসেন, অসীম চন্দ্র সরকার, ইসমাইল হোসেন স্বপন ও আনসার আলী। একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত নয়।
ঘটনার পর রমনা থানায় দুটি মামলা হয়—একটি হত্যা ও অপরটি বিস্ফোরক আইনে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ডেথ রেফারেন্স পাওয়া আটজন হলেন—মুফতি হান্নান, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলাল উদ্দিন, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা তাজউদ্দিন (সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই) ও হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর বদর। এর মধ্যে চারজন কারাগারে, বাকি চারজন পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন ও জেলখানায় থাকা ছয় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। তাদের আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৮ মে তারিখ নির্ধারণ করা হলো।
উল্লেখ্য, রমনা মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ২০১৭ সালে অন্য মামলায় কার্যকর করা হয়েছে।