আদালত আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য আদালত এখন ‘সেকেন্ড হোম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রায়ই কোর্টে যেতে হয়। আজকের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও মামলা ছিল, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন তিনি চেয়ারে বসে গেছেন, আর আমি গয়েশ্বর এখনও কোর্টে হাজিরা দিচ্ছি।’
সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।


গয়েশ্বর অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। ফলে অনেকেই মনে করেন, বিএনপির বিরুদ্ধে বলা ও লেখা সবচেয়ে নিরাপদ। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা একসময় বলত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক কিছু লেখা হতো। কিন্তু সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয়, বরং প্রকাশকের স্বাধীনতা বেশি কার্যকর।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিছু গণমাধ্যমের মালিকরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে চলেন, তাই তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয় না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয় না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘৫ আগস্ট যদি হাসিনা পদত্যাগ করতেন, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতো। কিন্তু এখন দেড়-দুই বছর সময় নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন, কেন?’ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী ও প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।