রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৫

আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের রংপুরে নির্মাণাধীন এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের রোগীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং যৌথ সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি।’

সোমবার (১২ মে) ঢাকায় নেপাল দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সফররত নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস যৌথ অবকাঠামো ও জ্বালানি উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। আলাদাভাবে নয়, একসঙ্গে কাজ করলেই আমরা আরো বেশি লাভবান হতে পারব।’

আলোচনার মূল বিষয়গুলোর একটি ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা। গত অক্টোবরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করা।

উভয় পক্ষ বৃহৎ পরিসরে আরো জলবিদ্যুৎ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Nagad

ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা বলেন, নেপাল সব খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংসদ সদস্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চান। আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারি শক্তিশালী করতে এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বাংলাদেশে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী বিশেষত মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করছে। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং আরো শিক্ষা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

উভয় পক্ষ অবকাঠামোগত সংযোগ বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের খরচ হ্রাস পাবে এবং মানুষ ও পণ্যের চলাচল সহজ হবে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।