তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান দুর্নীতির মামলায় খালাস
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে তারেক রহমান সব দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।


উল্লেখ্য, তারেক রহমান আলাদাভাবে আপিল না করলেও জোবাইদার আপিলের সঙ্গে তাঁরও খালাসের আবেদন করা হয়েছিল।
জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এস এম শাহজাহান বলেন, ‘যে সম্পত্তিগুলোর কথা মামলায় বলা হয়েছিল, সেগুলো অবৈধ নয় এবং কোনো সম্পত্তিই বিদেশে নেই। সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাড়ি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে নিয়ম মেনেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও জানান, গুলশানের একটি প্লটও রাষ্ট্রীয়ভাবে বরাদ্দ পাওয়া সম্পত্তি, যার মূল্য মাত্র ৩৩ টাকা। অথচ এসবকেই অবৈধ সম্পদ হিসেবে মামলায় উল্লেখ করে সাজা দেওয়া হয়েছিল।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
পরে গত ১৩ মে হাইকোর্ট জোবাইদার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল দাখিলের জন্য ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন। ১৪ মে তিনি আপিল করেন এবং একই দিন হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেন। এরপর ২২ ও ২৬ মে শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
প্রসঙ্গত, স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যে যান জোবাইদা রহমান। চলতি বছরের ৬ মে তিনি দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি জামিন এবং আজ খালাস পেলেন।