এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার, পেট্রোবাংলার সাশ্রয় ৮ হাজার কোটি টাকা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৫

বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করলে বছরে ৬ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। ফলে গ্যাস খাতে সরকারের ভর্তুকিও কমবে, এবং শিল্প খাতে সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

পেট্রোবাংলা দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গড়ে ১৪ ডলারে এলএনজি কিনে ভর্তুকির মাধ্যমে গ্রাহকদের সরবরাহ করে আসছে। প্রতি ডলার ১২২-১২৩ টাকা ধরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১০০ থেকে ১০৯ কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে খরচ সাশ্রয়ের পরিমাণ ৬ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে হতে পারে বলে জানানো হয়।

এখন পর্যন্ত এলএনজি আমদানির সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। পরে গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রির সময়ও একই হারে কর আরোপ হয়। একই গ্যাসে দু’বার শুল্ক আদায় হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল পেট্রোবাংলা। এর পাশাপাশি গ্যাস বিতরণ সংস্থার মার্জিন বিল থেকে ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটা হতো।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, একই গ্যাসে দুই দফা কর আদায় বন্ধ করতে তারা এনবিআরের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে। একই সঙ্গে গ্যাস বিতরণ সংস্থার উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অর্থ) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, “এটি আমাদের জন্য স্বস্তির। ব্যয় সাশ্রয়ের ফলে সরকারকে অতিরিক্ত ভর্তুকি না দিয়েও আমরা আরও এলএনজি আমদানি করতে পারব। শিল্প খাতে এখন গ্যাস সংকট নেই, আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “সাশ্রয়ের নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ভর করবে আমদানির পরিমাণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওপর। তবে বছরে অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হতে পারে।”

Nagad

পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৩টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৫টি এবং ২০২৫-২৬ সালে ১০৫ থেকে ১০৯টি কার্গো আমদানির লক্ষ্য রয়েছে। দু’টি এফএসআরইউ থাকায় কারিগরি ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে আমদানির পরিমাণ ঠিক হবে।