রিটার্ন জমায় করছাড় মিলবে যেসব খাতে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকেই (১ জুলাই) আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাচ্ছে, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকলেও রিটার্ন জমার সময় কিছু খাতে নতুন করছাড়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। করদাতাদের এসব বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নতুন সুবিধা: ভাই-বোনের দান করমুক্ত
এবারের বাজেটে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো—ভাই-বোনের দেওয়া দানকে করমুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা। ফলে দেশে কিংবা বিদেশে থাকা ভাই-বোনদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তি এখন করছাড়ের আওতায় পড়বে। আগে এ সুবিধা কেবল স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তানের জন্য প্রযোজ্য ছিল।


কৃষি খাতে বিনিয়োগ ও উৎপাদন উৎসাহিত করতে একজন করদাতার ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষি আয় করমুক্ত রাখা হয়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের আয় হিসাবের ক্ষেত্রে করযোগ্য আয় থেকে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অঙ্ক এখন বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল সাড়ে ৪ লাখ টাকা। বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মরণব্যাধির চিকিৎসা ব্যয়ে করছাড়
চাকরিজীবী করদাতারা যদি ক্যানসার, কিডনি, লিভার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার বা কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেন—তবে সে অর্থ করমুক্ত থাকবে। চিকিৎসাবাবদ পাওয়া সহায়তাও করছাড়ের আওতায় থাকবে।
পেনশন স্কিমে করছাড়
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আওতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে প্রাপ্ত উপকারভোগীর আয় ও কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আয়—দুই ক্ষেত্রেই করছাড় প্রযোজ্য হবে।
করছাড়ের মূল পয়েন্ট (সংক্ষেপে):
ভাই-বোনের দান করমুক্ত
কৃষি আয়: ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড়
বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয়ে ছাড়সীমা: ৫ লাখ টাকা
মরণব্যাধির চিকিৎসা ব্যয় করমুক্ত
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধা করমুক্ত