ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসে নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক নারী যাত্রীকে (৪০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাস চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের এই দৃশ্য দেখে ফেলেন পাশের একটি করাতকলের মালিকের ছেলে। এরপর ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে করাতকলের কার্যালয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বাসচালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস নামের বাসের চালক নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম (২৬) এবং উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর এলাকার তামিম টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ ওরফে তামিম (২১)। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছেন বাস চালকের সহকারী শিবপুর উপজেলার আশরাফুল ইসলাম (৩০)।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩ টার দিকে ধর্ষণের শিকার নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এরপর ওই রাতে ও শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর শনিবার রাতে ওই নারী সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের একটি উপজেলায়। চাকরির সূত্রে তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসে চড়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন। তিনি আখাউড়ায় একটি মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। বাসটি যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলী পৌঁছায়, তখন অনেক রাত হয়ে যায়। এর মধ্যে বাসে চালকের সহকারী আশরাফুল ওই নারীর সাথে বিভিন্নভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কাউতলী এলাকায় নেমে আখাউড়ার কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না ওই নারী। কিছুক্ষণ পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস পরিবহনের আরেকটি বাস নিয়ে কাউতলী মোড়ে আসেন চালকের সহকারী আশরাফুল। এ সময় তার সাথে ছিলেন চালক নজরুল। তারা ওই নারীকে বাসে তুলে সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে দুজনে তাকে ধর্ষণ করেন। এ দৃশ্য পাশের কেফায়েত উল্লাহ দেখে ফেলেন। এরপর তাদের ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে করাতকলে নিয়ে ধর্ষণ করে কেফায়েত। পরে তারা ওই নারীকে বাসে করে শহরের কাউতলী এলাকায় নামিয়ে দিয়ে ট্রেনে ঢাকা চলে যেতে বলেন। কিন্তু রাত ৩ টার দিকে ওই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় গিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এমরানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার দুইজন রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Nagad

সারাদিন/১৯ সেপ্টেম্বর/এমবি