স্কুলছাত্র মেহেদী হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান (১৫) হত্যা মামলায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার এই রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক রায়ে বলেন, “আট আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের প্রথম অপরাধ ও বয়স বিবেচনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হলো।”

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মেহেদী হত্যা মামলার আসামি শাহিনুর বেগম এবং নান্নু মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। রায় ঘোষণার সময় এই আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত রোববার (৩০ অক্টোবর) এই রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার রায়ের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (০১ নভেম্বর) রায় হলো।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদীকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যায় আসামি ওলি। মেহেদীর ভাগনে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে এ খবর জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মেহেদী অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী মারা যায়।

এই ঘটনায় ওই বছরের ০১ অক্টোবর রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন মেহেদীর বাবা মোশারফ। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে।

সারাদিন/০১ নভেম্বর/এমবি