দুইভাই হত্যা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুর সংবাদদাতামেহেরপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

মেহেরপুরে গাংনীতে চাঞ্চল্যকর আবুজেল ও রফিকুল ইসলাম (দুইভাই) হত্যা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায় আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (০২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এই আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজীপুরের আব্দুল হালিম, আতিয়ার রহমান, জালাল উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শরিফ হোসেন, দবির উদ্দিন, আজিজুল হক, ফরিদ হোসেন ও মনিরুল ইসলাম মনি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর এলাকায় ফেনসিডিলের একটি বড় চালান ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় একই গ্রামের কিয়ামুর্দ্দীনের ছেলে আবুজেল (৩৫) ও রফিকুল ইসলাম (৪০) ফেনসিডিলের চালানটি ধরিয়ে দেওয়ার পেছনে হাত রয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ১৫ জুন রাতে বিষয়টি মীমাংসা করবে বলে দুই ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় আসামিরা। পরদিন সকালে কাজিপুর গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকার ভারতীয় সীমান্ত পিলার ১৪৫ নং/এস-৬ এর কাছ থেকে বাংলাদেশ সীমানার ভেতরে ৭০-৭৫১ দক্ষিণে জনকে লাল্টুর মরিচক্ষেত থেকে তাদের দুই ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় হয়।

পরে দুই সহোদর হত্যার ঘটনায় নিহতের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় রাষ্টপক্ষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি পিপি কাজী শহীদ আসামি পক্ষে এ্যাড. একেএম শফিকুল আলম, অ্যাড. কামরুল হাসান ও আতাউল হাকিম লাল্টু আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষী গ্রহণ করে বিচারক এই রায় দেন।

Nagad

সারাদিন/০২ এপ্রিল/এমবি