আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
কূটনীতিকরা সংলাপ চান তফশিলের আগেই
মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিটার হাস * রাজপথে সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদেশিরা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা নির্বাচনের তফশিলের আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ চান। তারা মনে করেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে রাজপথে সহিংসতা বাড়ছে। সমঝোতা ছাড়া তফশিল ঘোষণা হয়ে গেলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তাই এখনই অর্থবহ সংলাপ হলে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথকে সুগম করবে। এ অবস্থায় শেষ মুহূর্তে সমঝোতার আশায়ও আছেন অনেকেই।এদিকে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় পক্ষ। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিও আলোচনায় আসতে পারে বলে আভাস মিলেছে। সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বিষয়ে জানতে মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিক হিসাবে আমরা বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে কথা বলি। সূত্র: যুগান্তর


সংসদ অধিবেশন শেষ
সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করলেন প্রধানমন্ত্রী
► দেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কেমন বাংলাদেশ চায় ► যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে, সেই হাত পুড়িয়ে দিন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব আবারও নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সহিংসতায় যুক্তদের জানোয়ার অভিহিত করে তিনি বলেন, জানোয়ারদের সঙ্গে বসার কথা কারা বলে, প্রশ্নই ওঠে না। দেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কেমন বাংলাদেশ চায়? উন্নত দেশ, নাকি ধ্বংসের দেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অনেক দায়িত্ব। সূত্র: কালের কণ্ঠ
জেলহত্যা মামলা
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।
ষড়যন্ত্র, ক্ষমতা দখল-পাল্টাদখলের ধারাবাহিকতায় রাতের আঁধারে কারাগারে বন্দী অবস্থায় ৪৮ বছর আগে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৮। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৩ জন। সাজাপ্রাপ্ত এই ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি ধরা পড়েন এবং ওই মাসেই তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।চার নেতার পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো আমারও দাবি, আসামিদের দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হোক।রাতের আঁধারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়। জেল হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবার হত্যা করেন সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। সূত্র: প্রথম আলো
অবরোধে অনিশ্চিত গন্তব্যে দেশ
টানা অবরোধে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে দেশ। নমনীয়তা দেখাচ্ছে না বিরোধী দলগুলো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে তিন দিনের অবরোধের পর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দলগুলো রোববার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে। দাবি না মানতে অনড় সরকার। বিরোধীদের ঠেকাতে আওয়ামী লীগ রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
অবরোধে দূরপাল্লার বাস প্রায় বন্ধ থাকায় জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। পণ্যবাহী যান চলাচল কমে যাওয়ায় ব্যবসা, কৃষি, শিল্পসহ সব খাতই কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে দ্রব্যমূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ আরও চিড়েচ্যাপ্টা হতে পারেন। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমেও বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। গত শনিবার বিরোধী দলগুলোর মহাসমাবেশের দিন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত আটজনের প্রাণ গেছে। চারজন নিহত হয়েছেন পুলিশের গুলিতে। বিএনপি ও জামায়াতের দাবি অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ১১। হরতাল-অবরোধ সমর্থকরা শতাধিক যানবাহনে আগুন দিয়েছে এবং ভাঙচুর চালিয়েছে-সূত্র: সমকাল
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘খেয়ালিপনায়’ ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন
নিয়ন্ত্রণহীন ডলার বাজারে ব্যাপক হযবরল দশা বিরাজ করছে। ডলারের রেট বাজারভিত্তিক ইস্যুতে রীতিমতো লুকোচুরি খেলছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। বাজারে ডলারের চার ধরনের ব্যাংক ঘোষিত রেটের পাশাপাশি এবং মৌখিক রেটও রয়েছে। আবার মানি চেঞ্জার্সগুলোর জন্য পৃথক রেট বেঁধে দিয়ে সেটা কম-বেশি করার মাধ্যমে বাজারভিত্তিক দেখানোর অলিখিত নির্দেশনাও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ভিন্ন ধরনের রেটকে বাজারভিত্তিক দাবি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার ব্যাংকে রেমিট্যান্স কেনার দর তুলে দিয়ে মানি চেঞ্জার্সগুলোকে দর বেঁধে দেওয়ায় হুন্ডিওয়ালারা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণ করেছে ১১১ টাকা। বুধবারও ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে ষষ্ঠবারের মতো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো। জুলাইয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা এবং এক বছর আগে গত নভেম্বরে ছিল ১০১ টাকা ৩৮ পয়সা। পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত নীতিমালা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ কোনোভাবেই কাজ করছে না। ডলারের ভিন্ন রেট রয়েছে। এটাকে বাজারভিত্তিক বলাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের খেয়ালিপনা। বেঁধে দেওয়ার রেটকে কোনোভাবে বাজারভিত্তিক বলা যায় না। আর বাজারের ভিন্ন ভিন্ন রেট থাকায় হুন্ডিওয়ালাদের নতুন সুযোগ হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রায় কেনাবেচার সংগঠন বাফেদা নভেম্বর মাসের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে রপ্তানিকারকদের থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। তবে রেমিট্যান্স যত খুশি তত দরে কিনতে পারবে। বেশি দামে কিনলেও আন্তব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৪ টাকা। অক্টোবরে ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রির সিদ্ধান্ত ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও মালিবাগ ঘুরে দেখা গেছে, ডলারের ঘোষিত কেনার রেট ১১২ টাকা ৫০ পয়সা এবং বেচার রেট ১১৪ টাকা। কিন্তু এই রেটে ডলার মিলছে না। ডলার-খরা থাকায় বিক্রয়কর্মীরা অলস সময় পার করছেন। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।
উপকূলের আরও কাছে হামুন, আঘাত হানবে কাল
গতি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় হামুনের। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় উপকূল থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরে থাকলেও সকাল ৯টায় তা ৩১০ কিলোমিটার দূরে। যথারীতি আগামীকাল বিকালের পরিবর্তে সকালেই উপকূলে আঘাত করতে পারে হামুন। বরিশাল ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী ভোলার উপর দিয়ে তা উপকূল অতিক্রম করার কথা রয়েছে। হামুনের প্রভাব থেকে উপকূল রক্ষায় চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসাথে কক্সবাজারকে ছয় নম্বর ও মোংলাকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার দ্বীপ, চর গুলোর জন্য বিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
জেল হত্যাকাণ্ড: দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে
আজ ৩ নভেম্বর, ইতিহাসের কলঙ্কজনক জেল হত্যাকাণ্ডের ৪৮ বছর। সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় শেষ হলেও দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ মামলার বেশ কয়েকজন আসামি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও আসামি ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদের অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে জেল হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অধিকাংশ আসামিই পলাতক।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান এ মামলার রায় দেন। এরপর ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের রায় দেন হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়। পরে আপিলের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন। ওই বেঞ্চের অপর সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. ইমান আলী। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
ওমান ভিসা দেবে না বাংলাদেশিদের, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশে প্রভাব পড়বে?
বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে ওমান। দেশটির রয়্যাল পুলিশ এক ঘোষণায় এটি জানিয়েছে। একই সাথে ‘টুরিস্ট’ কিংবা ‘ভিজিট ভিসা’ নিয়ে ওমান গেলে সেটি ‘ওয়ার্ক ভিসায়’ পরিবর্তন করা যাবেনা। গত ৩১শে অক্টোবর থেকে সব দেশের জন্য এটি কার্যকর করা হয়েছে। ওমানের জনসংখ্যা ৫০ লাখের মতো। বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে বলা হচ্ছে, ওমানে ২০ লাখের মতো প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সংখ্যা সাত লাখের উপরে।ঢাকায় ওমান দূতাবাসের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে “এটি ওমানি শ্রম বাজারের চাহিদা ও স্থিতিশীলতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি প্রয়াস” যার উদ্দেশ্য বর্তমান শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
একীভূতের ‘পাকে’ বিনিয়োগকারী, কার ভুলে এত লোকসান?
পুঁজিবাজারে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকার পরও দুটি কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের টাকা কার্যত উবে যাচ্ছে। কোম্পানি দুটি অন্য দুটি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর তাদের পরিশোধিত মূলধন কমে গেছে। ফলে একটি কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতি তিনটি শেয়ার পরিণত হয়েছে একটিতে। আরেকটি কোম্পানির প্রতি ৫.৫৯টি শেয়ার পরিণত হয়েছে একটিতে।শেয়ার কমে যাওয়ার পর দুটি কোম্পানিরই দাম সমন্বয় হয়েছে। পুঁজিবাজারে করপোরেট ঘোষণার পর বোনাস বা রাইট শেয়ার দিলে শেয়ার সংখ্যা যত বাড়ে, নতুন ফ্লোর প্রাইসও সেই হারে কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই হিসাবে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় করে বাড়িয়ে না দেওয়ায় দুই দিনেই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগাকারীরা; সেই ক্ষতি আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ, তারা হতাশ, কিন্তু কার কাছে যাবেন, সেটি বুঝতে পারছেন না। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ফেইসবুক পেইজে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন।নতুন ফ্লোর প্রাইস না থাকার কারণে রেকর্ড ডেট শেষে পরপর দুই দিন কমেছে দাম। একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীর লোকসান এরই মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছে গেছে, আরেকটি কোম্পানির লোকসান ১১ শতাংশের বেশি। সূত্র: বিডি নিউজ
পুরোনো চেহারায় ফিরেছে গাবতলী
বিএনপি ঘোষিত তিন দিনের অবরোধ শেষে আজ আবার পুরোনো চেহারায় ফিরেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। কর্মীদের হাঁকডাক ও যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো প্রাঙ্গণ।শুক্রবার গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়,ভোর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে গাবতলী এলাকা। কাউন্টারের লোকরা ডাকছেন যাত্রীদের। ভোর থেকেই ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস।টানা তিন দিনের অবরোধে স্তিমিত হয়ে পড়েছিল গাবতলী এলাকা। দূরপাল্লার বাস না ছাড়ায় যাত্রীরাও পড়েছিলেন বিপাকে। গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় শেখ নাসের নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি কমফোর্ট লাইন বাসে পিরোজপুর। শেখ নাসের বলেন, বাড়িতে যাওয়ার দরকার ছিল অবরোধের আগেই। কিন্তু মাঝখানে অবরোধ পড়ে যাওয়ায় আর যেতে পারিনি। তাই আজ যাচ্ছি।সোহাগ পরিবহনে মাগুরা যাবেন শাহাদাত হোসেইন। তিনি বলেন, দুইদিন ধরেই বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। গতকাল এসেও বাস পাইনি। অবরোধ কাটতেই আজ এলাম। টিকিট কেটেছি, আশা করছি ভালোভাবে পৌঁছাবো।অবরোধ শেষ হতেই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বাস সংশ্লিষ্টরা। গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সাদ্দাম বলেন, তিন দিন তো কোনো ট্রিপই ছিল না। অনেক যাত্রী চাইলেও যেতে পারেনি। তাই আজ সবাই যাত্রা করছেন।রয়েল এক্সপ্রেসের কর্মী মিন্টু বলেন, অবরোধের কারণে ট্রিপ বন্ধ ছিল। আজ অবরোধ শেষ, ট্রিপ আবার শুরু হয়েছে। যাত্রীও অনেক আসছেন। সূত্র: ঢাকা পোস্ট