আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৩

বাইডেনকে বিপদে ফেলতে পারেন ক্ষুব্ধ আরব ভোটাররা

১৯৪৮ সালের কথা। ফিলিস্তিনের আরব অধ্যুষিত ভূখণ্ড ভাগ করে সেখানে ইউরোপ থেকে আসা ইহুদিদের জন্য নতুন রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সঙ্গে একমত। নবগঠিত জাতিসংঘে ব্রিটিশ একগুঁয়েমি ও মার্কিন কূটচালে ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনকে কেটে দুভাগ করার প্রস্তাব পাস হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাড়ে ছয় লাখ ইহুদির জন্য ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশ ভূমি ভাগ করে দেওয়া হবে। বাকি ৪৪ শতাংশ পাবে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি। আবার সেই ভূমির একটা বড় অংশ বসবাস ও কৃষিকাজের অনুপযোগী। ফিলিস্তিনিরা তো নয়ই, কোনো আরব দেশও এমন প্রস্তাবে সম্মত নয়। কায়রো থেকে বাগদাদ—সর্বত্র ফিলিস্তিন ভাগের পরিকল্পনার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিদ্রোহের আশঙ্কা ট্রান্সজর্ডানে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান তাঁর রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তে রাজি। সূত্র: প্রথম আলো

এইডডাটার গবেষণা
মার্কিন চাপের বিপরীতে চীনা ঋণের রেকর্ড

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মান নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিকভাবে চাপ তৈরিতে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে চীনকে বড় বাধা বলে মনে করে দেশটি। কারণ পশ্চিমারা যখন চাপ তৈরি করে তখন চীন সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। পশ্চিমাদের প্রেক্ষাপটে এটি খুবই কঠিন পরিস্থিতি। কারণ তারা চীনের মতো সহযোগিতা করতে পারছে না। আবার পরিস্থিতিকেও মানতে পারছে না।যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ল্যাব এইডডাটার সর্বশেষ গবেষণায় বাংলাদেশে চীনা ঋণের চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদে (২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত) চীনা ঋণের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দুই ভাগ করে ফেলা হয়েছে গাজাকে

মানবতার চরম লঙ্ঘন চলছে গাজায়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব দেখেও না দেখার ভান করছে বা এই অপরাধকে আরও অন্ধ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে এক মাসে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করল ইসরায়েল। অর্থাৎ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৬ হাজার ফিলিস্তিনি। গতকাল আলজাজিরা জানায়, নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ শিশু, ২ হাজার ৬৪১ নারী। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অপরদিকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০৫ জন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫ হাজার ৬০০ জন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা থামছেই না

ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা। ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র ও অসহায় মানুষদের হত্যা করছে। একের পর এক হামলা করছে হাসপাতালগুলোতে। এবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে তারা; যেখানে চারটি হাসপাতাল রয়েছে। এতে অন্তত আটজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল-জাজিরার -ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এতে আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে আল-নাসের শিশু হাসপাতাল, রান্টিসি বিশেষায়িত হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল এবং মানসিক হাসপাতাল রয়েছে। রান্টিসি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক সুলেমান কাউদ বলেন, রোববার রাতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আমাদের কিছু কর্মীদের ডেকেছিল এবং বলেছিল যে তারা হাসপাতালের চারপাশে ফায়ার বেল্ট তৈরি করবে। কিন্তু সাড়ে ৬টার দিকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল এবং রান্টিসি হাসপাতালের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানে এবং কয়েকজন মেডিকেল স্টাফসহ ৩৫ জন আহত হয়। দুই ঘণ্টা পরে রান্টিসি হাসপাতালের পাশাপাশি এর দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব দিকেও আঘাত হানে। সূত্র: সমকাল

বেসামরিক ইসরায়েলিদের হত্যার অভিযোগ অস্বীকার হামাস নেতার

ইসরায়েলে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক। গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, হামাস শুধু ইসরায়েলি নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাদের লক্ষ্য করে যুদ্ধ পরিচালনা করছে।সন্ত্রাসবিরোধী নীতির অধীনে যুক্তরাজ্য মারজুকের সম্পদ জব্দ করেছিল এর আগে। গত ৭ অক্টোবরের অতর্কিত হামলার পর তিনিই বিবিসির সঙ্গে কথা বলা সবচেয়ে সিনিয়র হামাস সদস্য। মারজুক বলেন, ইসরায়েলি কোনো নারী, শিশু বা বেসামরিক বাসিন্দাদের ওপর হামাস আক্রমণ চালায়নি।সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েলি পক্ষ একাধিক ভিডিও সরবরাহ করে দাবি করে, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে হামাস।গত ৭ অক্টোবরে হামাসের আক্রমণের পর এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সেনাবহিনী। তেল আবিবের দাবি নিহতের বেশির ভাগই বেসামরিক নিরস্ত্র বাসিন্দা। সূত্র: বণিক বার্তা।

লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে হামাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের চলমান এই নৃশংসতার জবাবে দক্ষিণ লেবানন থেকে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলে সিরিজ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে। সোমবার টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাসের কাসাম ব্রিগেডের লেবানন শাখা বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলি শহর নাহারিয়া এবং হাইফা শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ১৬টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ত্রাণ ও জিম্মিদের জন্য লড়াইয়ে ‘বিরতি’ দিতে রাজি ইসরায়েল
কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ত্রাণ প্রবেশ ও জিম্মিদের প্রস্থানের সুযোগ দিতে গাজার লড়াইয়ে ‘কৌশলগত সামান্য বিরতি’ দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে তার দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি মনে করেন যুদ্ধের পর ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের প্রয়োজন হবে। লড়াইয়ে মানবিক বিরতির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে নেতানিয়াহু বলেন, একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি তার দেশের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজার লড়াইয়ে মানবিক বিরতির ধারণা সমর্থন করেছে। এবিসি নিউজকে নেতানিয়াহু বলেন, “যতদূর সম্ভব সেখানে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টার জন্য কৌশলগত সামান্য বিরতি আমরা আগেও দিয়েছি। আমার অনুমান, যাতে পণ্য, মানবিক পণ্য ভেতরে আসতে পারে অথবা আমাদের জিম্মিরা, বিশেষ জিম্মিরা প্রস্থান করতে পারে তার জন্য আমরা পরিস্থিতি পরীক্ষা করবো। কিন্তু আমার মনে হয় না সেখানে সাধারণ যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে।” সূত্র: বিডি নিউজ

গাজায় ১ মাসে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজার

গত ১ মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ২২ জনে উপনীত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ জনই শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক ফিলিস্তিনি আটকে রয়েছেন এবং ইসরায়েলের অবরোধের মুখে খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের হামলা চলতে থাকলে নিহতের এই সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা খান ইউনূস কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদকে বলেন, ‘উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ সরাতে পারছে না।’ সূত্র: ইত্তেফাক

ফিলিস্তিনিরা বাদ, ১ লাখ ভারতীয়কে কাজ দিতে চায় ইসরায়েলি আবাসন খাত

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের জীবনে অর্থনৈতিক দুর্দশা নেমে এসেছে। সেই দুর্দশা দীর্ঘায়িত করতেই যেন ইসরায়েলি আবাসন খাত থেকে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবর্তে সেখানে প্রায় ১ লাখ ভারতীয়কে কাজে নিতে পারে ইসরায়েল। বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আবাসন ব্যবসায়ী ও ইসরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হাইম ফেইগলিনের সাক্ষাৎকার নেয়। নেই সাক্ষাৎকারেই তিনি উল্লিখিত তথ্য দেন। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।

strong>জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নয়: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয় বলে জানিয়েছেন। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস গাজায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া না পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না। তবে জনগণের চলাচল এবং সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য ‘কৌশলগত সামান্য বিরতির’ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।নেতানিয়াহু স্থানীয় সময় সোমবার এবিসি নিউজের সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি নয়, সাধারণ যুদ্ধবিরতি হবে না। যতদূর সম্ভব তা হলো কৌশলগত সামান্য বিরতি। এখানে এক ঘন্টা, সেখানে এক ঘন্টা।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মানবিক পণ্যের প্রবেশ বা জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়াসহ সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। তবে আমি মনে করি না সাধারণ যুদ্ধবিরতি হবে।’ গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েল। ঠিক তখনই নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এসেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ